বাগেরহাটের মোল্লাহাটে রাজ নামের ১৮-২০ মণ ওজনের আকর্ষণীয় ষাঁড়ের দাম ৫ লাখ টাকা হাঁকছেন এর মালিক সুবাশ টিকাদার।
গতবছর ৩লাখ টাকা দাম হলেও বিক্রি করেন নাই তিনি। প্রতিদিন ৮০০-১২০০শত টাকার খাবার খায় রাজ। কৃত্রিম (ক্ষতিকারক) কোন খাবার বা ইনজেকশন পুশ করা হয়নাই। কেবল সম্পূর্ণ দেশীয় খড়, কাঁচা ঘাস, ভুসি, খৈল ও চিটাগুড় খাইয়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে রাজ”কে। উপজেলার জয়ডিহি গ্রামে নিজ বসত-বাড়িরতে গড়ে তুলেছে এই খামার।
এ খামারেই অত্যন্ত যত্নে বেড়ে উঠেছে। কখনো কোন হাটে এমনকি খামারের বাহিরে যাওয়া হয় নাই রাজে’র। তবু, গত বছর কোরবানির আগে একাধিক খরিদ্দার এসেছিলেন, ৩লাখ টাকায় কিনতেও চেয়েছিলেন কেউ কেউ। আরো বড় করার আসায় বিক্রি করা হয় নাই তখন। এবার মালিকের আগ্রহ বিক্রির জন্য। প্রতিদিন প্রায়৮০০-১২০০শত টাকার খড়, ঘাস, ভুসি সহ খাদ্য সামগ্রী খাওয়ানো হয় রাজ’কে। দৈনিক ১/২ বার গোসল করানো সহ রাখা হয় পরিচ্ছন্ন পরিবেশে। আগামী বছর পর্যন্ত রাখলে বিশাল অংকের খাবার খাওয়াতে হবে তাই, এবারই কোরবানি উপলক্ষে বিক্রি করতে চান এর মালিক।
মালিক রাজের দাম ৫লাখ টাকা পাবেন বলে আশাবাদী। যেহেতু বিশালাকৃতির ষাঁড় বাহিরের পরিবেশে কখনো নেয়া হয়নাই তাই, হাটে-বাজারে নেয়ার ঝামেলা এড়িয়ে নিজ বসত-বাড়ির খামার/ গোয়ালঘর থেকে বিক্রির ইচ্ছা এর মালিকের। তাই, রুচিশীল ও ধনাঢ্য খরিদ্দার ব্যক্তিদের এ খামারে আসার আহ্বান জানান মালিক সুবাশ টিকাদার।
পত্রিকা একাত্তর/ সৌরভ কুমার