ভোলায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের গ্রাহককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারপিট করে আহত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ থেকে জানাযায়, ভোলা সদর উপজেলার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠকর্মী মোঃ শামীম তার গ্রাহক ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিগলদী ইউনিয়নের, চর কুমারিয়া গ্রামের আবুল কালামের পুত্র মোঃ নোমান (জুয়েল) কে মোবাইল ফোন করে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিসে ডেকে এনে নির্জন কক্ষে নিয়ে মার পিঠ করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
মোঃ নোমান (জুয়েল) অভিযোগ করে বলেন, আমি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দীর্ঘদিনের সদস্য আমার কাছে কিছু ঋণ ঋণের টাকা পাওনা ছিল। আমাকে ফোন করে সেই টাকা চাইলে আমি টাকা দিতে অফিস আসি। আসার পর আমি ম্যানেজারের সাথে কথা বলি এবং আমার কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরি তখন সে আমাকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য বলেন। পূর্বের টাকা সমন্বয় করে আমার নামে নতুন ঋণ পাস করান। সার্ভার সমস্যা থাকায় ম্যানেজার সাহেব আমাকে বললেন আপনি আগামী দিন আসেন।
আমি অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় আমাদের মাঠ কর্মী শামীম ভাইকে আমি বললাম ভাই আজকে টাকা দিতে পারবে না ম্যানেজার আগামীকালকে আসতে বলেছেন।
তখন শামীম বলল আপনার সাথে আমার কথা আছে, আপনি উপরে আসেন। এই বলে আমাকে নির্জন একটি কক্ষে নিয়ে নতুন ঋণ পাস করিয়েছে এ জন্য আমার কাছে কিছু খরচ টাকা চাইতেছেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করেন।পরবর্তীতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমার পরিবারের লোককে খবর দিলে আমার বাবা ও স্ত্রী এসে আমাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার মাকসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ বিষয় নিয়ে ওই গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিচার দিয়েছেন। তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বিচার করে দিতে বলেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সামিমের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে সে ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস থেকে আমাকে জানিয়েছে বিষয়টি তারা নিজেরা নিজেরাই সমাধান করেছে তবে ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করনি।
এদিকে ভুক্তভোগীর জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে আমি ঘটনার দিন আমার ফোনে জানিয়েছিলাম কিন্তু আমি গুরুতর অসুস্থ থাকার কারণে তার কাছে লিখিত অভিযোগ করতে পারিনি, তবে আমি আজকের ভিতরে অবশ্যই লিখিত অভিযোগ করব। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সাথে মিলমিশতো দূরের কথা ওই অফিসের কেউ আমাকে হাসপাতালে দেখতে আসেনি।
পত্রিকা একাত্তর/ মহিউদ্দিন