চট্টগ্রামে নিবন্ধিত ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে,স্ক্র্যাপকরণ করা ১৫১টি সিএনজি অটোরিক্সা দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন রিপ্লেসমেন্ট সিএনজি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সিএনজির মালিকরা।
৮ জুন বৃহস্পতিবার সকালে বিআরটিএ’র কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এসব কথাবার্তা বলেন,সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৩ মে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে ২০০১, ২০০২, ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে তৈরিকৃত সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করা হবে। সিএনজি মালিকরা এসব মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি স্ক্র্যাপকরণের জন্য বিআরটিএ’ কার্যালয়ে তালিকাভুক্ত করেন। গত ৪-৫ বছর ধরে এসব সিএনজি অটোরিক্সা মালিকরা চিন্তিত ছিলেন।এসব সিএনজি স্ক্র্যাপকরণের কারণে এখন তারা রিপ্লেসমেন্ট নম্বর দিয়ে নতুন সিএনজি অটোরিকশা নিতে পারবেন,সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের পরিবার নতুন আয়ের পথ উম্মুক্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,২০০১ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার এবং ২৬ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এসব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর,পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। যেকারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নিবন্ধকৃত ১৩ হাজার অটোরিকশার ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করতে পেরে খুশি হয়েছেন ফয়সল মাহমুদ। তিনি বলেন,অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন এসব সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরন করতে ঝামেলাই পড়তে পারে। কিন্তু কোন ঝামেলা ছাড়াই সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করা হয়,তবে দালালের ব্যাপারে বিআরটিএ এর কর্মকর্তারা কঠোর ভূমিকা নিয়ে এদায়িত্ব পালন করেন। রিপ্লেসেমন্টে সিএনজি দেওয়ার দাবি জানিয়ে সাইফুল ইসলাম শুভ তিনি বলেন, দালাল ছাড়াই আমার দুটি সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করেছি,এখন আমাদের দাবি ঔসব স্ক্র্যাপকরণ সিএনজি যেন দ্রুত সময়ে রিপ্লেসেমন্টে সিএনজি দেওয়া হয়। জাতে করে আমাদের আয়ের পথ উম্মুক্ত হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএর পরিচালক শফিউজ্জামান ভূঁইয়া তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপকরণ করা হয়েছে। দালালমুক্ত ভাবে সিএনজি মালিকদের সেবা দিতে পেরে আমরা ও আনন্দিত হয়েছি বলে জানিয়েছেন তিনি।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন