বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) অপূর্ব মন্ডল (৩৬)‘র বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীর (১৯) শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (০৩ জুন) রাতে ওই শিক্ষার্থীর মা অপূর্ব‘র বিরুদ্ধে চিতলমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তুলে নিতে ইউপি সদস্য ও তাঁর লোকজন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে দাবি কলেজ ছাত্রীর পরিবারের।
অপূর্ব মন্ডল চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী বাওয়ালীপাড়া গ্রামের মৃতব্রজেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে ও চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
ওই কলেজ ছাত্রীর মা বলেন, দীঘদিন ধরে কলেজে যাওয়া-আসার পথে অপূর্ব মেম্বার আমার মেয়েকে উত্যাক্তসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে তাঁকে অনেক বার অনুরোধ করেছি। তারপরও সে আমার মেয়ের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেয়। গেল শুক্রবার ( ২ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় স্থানীয় রমেশ বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বসে অপূর্ব মন্ডল (৩৬) ও তাঁর ভাই নিমাই মন্ডল (৪০) আমার এবং আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তাঁদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাঁরা আমাদের উপর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অপূর্ব বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার সারা শরীরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারে। আমার মেয়ের কাপড়-চোপড় টেনে হিচড়ে খুলে ফেলার পর্যায়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে শনিবার রাতে অপূর্ব মন্ডল ও তাঁর ভাই নিমাই মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এরপর থেকেই অপূর্ব ও তাঁর লোকজন অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি অপূর্ব‘র সঠিক বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য অপূর্ব মন্ডল বলেন, আমি এ ধরনের কোন কাজ করিনি। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, কলেজ ছাত্রীর মা অপূর্ব মন্ডল ও তাঁর ভাই নিমাই মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ শেখ শামীম