patrika71
ঢাকাশুক্রবার , ২ জুন ২০২৩
  1. অনুষ্ঠান
  2. অনুসন্ধানী
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইসলাম
  8. কবিতা
  9. কৃষি
  10. ক্যাম্পাস
  11. খেলাধুলা
  12. জবস
  13. জাতীয়
  14. ট্যুরিজম
  15. প্রজন্ম
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নড়াইলে প্রতারণা করে একাধিক নারীকে বিয়ের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল
জুন ২, ২০২৩ ৮:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রতারনার ফাঁদে ফেলে একাধিক নারীকে বিয়ে করার পর সবাইকে তালাক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাহিদ ফকির (৩২) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

প্রতারণা ও শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়ে তানিয়া সুলতানা নামে এক নারী স্বামী নাহিদসহ ৩ জনকে আসামি করে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। নাহিদ নড়াইল সদর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের মহিদ ফকিরের ছেলে।

জানা গেছে, প্রতারক নাহিদ ঢাকার কোরবান আলীর মেয়ে সোনিয়া বেগমকে প্রথমে বিয়ে করেন। স্বামীর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় প্রথম স্ত্রী সোনিয়া এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে ঢাকায় বাবার বাড়ি চলে যান। পরে নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর-রুখালী গ্রামের সাফারত শেখের মেয়ে জাহানারা খাতুন, বেদভিটা গ্রামের জলিল কাজির মেয়ে সাম্মী আক্তার রনি, মুলদাইড় গ্রামের উর্মিলা খাতুন, বাগডাঙ্গা গ্রামের জাফরের স্ত্রী আসমা বেগমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন নাহিদ।

সর্বশেষ সিংগা শোলপুর ইউনিয়নের শোভারঘোপ গ্রামের বাহাউদ্দিন বোড়ার মেয়ে তানিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন নাহিদ। তানিয়ার ঘরে এক কন্যা সন্তান জন্ম লাভের পর স্বামী নাহিদ তাকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরবর্তীতে টাকাগুলো ড্রয়ারে পাওয়া যায় এবং তানিয়া নির্দোষ প্রমাণীত হন।

স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে এবং নির্যাতনের অভিযোগ এনে তানিয়া স্বামী নাহিদের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ছাড়া বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে নাহিদের একাধিক বিয়ের ব্যাপারে বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে শালিস বসে। শালিস চলাকালে নাহিদ বিচার প্রার্থী স্ত্রী তানিয়াকে মারধর করে এবং তানিয়ার মাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। এ ঘটনায় তানিয়া ও তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে দু’জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

ঘটনা উল্লেখ করে তানিয়া সুলতানা বাদী হয়ে নাহিদের বিরুদ্ধে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের। তিনি আরো জানান, নাহিদ দুবাইয়ের এক কোম্পানিতে চাকুরি করতো। সেখান থেকে বহু টাকা আত্মসাৎ করে দেশে ফিরে আসে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আত্মসাৎ করা টাকার জোরে তিনি বহু বিবাহে আসক্ত এবং কোন কারণ ছাড়াই স্ত্রীদেরকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে তালাক দেয়া তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আমি স্বামীর সংসারে থাকাকালীন নাহিদ আমার পিত্রালয়ে তালাকের নোটিস পাঠায়।

অপর ভুক্তভোগী উর্মিলার মা জানান, নাহিদ ফকির, তার মা আর দুলাভাই আনিচ মিলে আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে আমাদের সহযোগিতায় দুবাই চলে যায়। দীর্ঘদিন নাহিদ আমাদের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ না করায় নাহিদের মাকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমাদের মতো আর কোন মেয়ের জীবন যাতে নাহিদ প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নষ্ট না করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগী নারীরা।

এ ব্যাপারে নাহিদ ফকির জানান, স্ত্রী তানিয়া অগোচরে পরকীয়ায় জড়ানোর কারণে তাকে নিয়ে আমার সংসার করা সম্ভবপর হচ্ছিল না। তিনি আরো জানান, স্ত্রী তানিয়া খোরপোশ কাবিনের টাকা পরিশোধের প্রস্তাব করলেও সে টাকা গ্রহণ না করে আমার নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মামলা করে হয়রানি করছে। একাধিক বিয়ের কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন, অর্থলোভী তানিয়া একাধিক বিয়েসহ একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত থাকায় আমি তাকে তালাক দিয়েছি।

পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু