কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার কালামিয়া মসজিদ ও রাজাখালী মৌজার সামনের নতুন জেগে উটা চরে কবরস্থান মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা ও চরের জায়গা সরকারি অধিগ্রহণ প্রত্যাহারের দাবিতে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার “রাজাখালী মৌজার সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী’র” ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় মোঃ শওকত নূর’র সঞ্চালনায় ও মোঃশাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন’র (বাপসা) কেন্দ্রীয় সভাপতি এম এ হাশেম রাজু, বাপসা’র পেকুয়া সমন্বয়ক মোঃ ওসমান সরোয়ার খাঁন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন ফাতেমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় খতিয়ান নং ৪ মৌজা রাজাখালি ডি আর এ দাগ নং ১৬৯১২,বিএস দাগ নং ১০৯৩৩,১০৯৩৪,১০৯৩৫, খতিয়ান নং১৮১ মৌজা রাজাখালি খতিয়ান নং ১৩১৬ ডি আর এ দাগ নং ১৬৯০৩,১৬৯০২, মৌজা রাজাখালী খতিয়ান নং ১৮০ ও ডি আর এ দাগ নং ১০৯০৭, ফাতেমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ভূমিদাতা প্রকৃত মালিক মরহুম আলী নেওয়াজ খাঁন, মরহুম সোলেমান খাঁন, মরহুম হোসেন খাঁন ও মরহুম সরফরাজ খাঁন। এলাকার শিক্ষা , সংস্কৃতি, খেলাধুলায়, ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অপরিহার্য ভূমিকা রাখছে এই বিদ্যালয়টি।
এলাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলার মাঠ, এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর জন্য নির্ধারিত কবরস্থান না থাকায়। এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় জেগে উঠা নতুন চরে একটি খেলার মাঠ, একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা ও কবরস্থান নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য যে বিগত সময়ে প্রলংকরি ঘূর্ণিঝড়ে নিহত এলাকাবাসী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ভেসে আসা মানুষের মৃতদেহ উক্ত চরে কবরস্থ করা হয়েছে। এমনকি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় স্থানীয় এলাকাবাসী ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলেন এই চরের কিনারায়।
বর্তমানে সরকার উক্ত জেগে ওঠা নতুন চরটি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থা এলাকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কথা বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উক্ত চর অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য স্থানীয় সচেতন মহল ও এলাকাবাসী অনুরোধ জানান।
উক্ত মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে যোগ দেন বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন (বাপসা)সহ স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের (বাপসা) কেন্দ্রীয় সভাপতির নেতৃত্বে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
পত্রিকা একাত্তর/ ইসমাইল ইমন