বাগেরহাটের ফকিরহাটে চিকিৎসার জন্য কথিত কবিরাজের বাড়িতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী (১৩) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১ জুন) ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের চরভৈরব গ্রামে কথিত কবিরাজ কায়েম আলী ওরফে কাইয়ুমের (৪৮) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পর ওই ব্যক্তি বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য চাপ প্রয়গ করেন। কেউ যদি একথা জানে তাহলে বড় ক্ষতি’ করার হুমকি দেয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী কিশোরী। এই ঘটনায় ফকিরহাট মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ওই ছাত্রীর এক সহপাঠি জানায়, হাতের আঁচিল তুলতে গত ২৯ মে দুপুরের পর এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কবিরাজ কায়েম আলীর বাড়িতে গিয়েছিল সে। সেখানে ওইকথিত কবিরাজ আঁচিল উঠানোর চিকিৎসার সময় রোগীর সাথে অন্য কেউ থাকা যাবেনা বলে। তার বান্ধবীকে বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলে। পরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয় এবং কিছু একটা দিয়ে তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে যেনো না বলে, বললে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয় ওই ভন্ড কবিরাজ।
ওই কিশোরী তার বাবা-মার সঙ্গে ফকিরহাট উপজেলার একটি গ্রামে এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
কিশোরীর পরিবার জানায়, তারা এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়া এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়াতে ভয়ে বিষয়টি প্রথমে কাউকে জানায়নি।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তারা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। মৌখিক অভিযোগ পেয়ে আসামি কথিত ওই কবিরাজকে ধরার চেষ্টা চলছে।
পত্রিকা একাত্তর/ শামীম হাসান