জামালপুরের মেলান্দহে ভাবীকে নির্যাতনের মামলায় আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে মামলা তুলে নিতে বাদী ভাবীকে হুমকি ও তার বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে দেবর আলম ও তার স্ত্রী জেসমিনের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আলম (৩৫) উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি গ্রামের আলী আকন্দের ছেলে। ও জেসমিন আক্তার আলমের স্ত্রী।
জানা যায়, ওই এলাকার প্রবাসী নুর ইসলামের স্ত্রী নাহিদা আক্তার শারীরিক নির্যাতন, স্বণের চেইন ছিনতাই ও বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগে গত ২৫মে মেলান্দহ থানায় আলম ও তার স্ত্রীর জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (২৯মে) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি এলাকা থেকে উপ পরিদর্শক এসআই আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য নির্যাতন মামলায় প্রধান আসামী দেবর আলম কে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (৩০মে) মেলান্দহ থানা থেকে আদালতে প্রেরন করলে অভিযুক্ত আলম সেদিনই জামিনে বেড়িয়ে আসে। জামিনে বেড়িয়ে বাড়িতে এসে মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি ও তার বাড়িঘর ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘প্রায় ১ বছর থেকে আমার স্বামী প্রবাসে থাকে। এ সুযোগে বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার দেবর আলম ও তার স্ত্রী জেসমিন আমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পারিবারিক ভাবে সালিশ বৈঠক হলেও গত বৃহস্পতিবার আমায় আবারো নির্যাতন করে ও আমার গলায় থাকা স্বণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এতে আলম ও জেসমিন কে আসামি করে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। আইনে গ্রেপ্তার হলেও ক্ষমতার জোরে আলম জামিনে বেড়িয়ে এখন মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। বাড়িঘর ভাংচুর করছে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকে দুই সন্তান নিয়ে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
মামলার বিবাধী জেসমিন বলেন, ‘একবাড়িতে থাকলে ছোটখাটো ঘটনা ঘটেই। এটা একটা ভুলবুঝাবুঝি ছিলো। যা পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের নিয়ে বসে মিমাংসা হয়েছে। মীমাংসা হওয়ার পরেও মিথ্যা অভিযোগে সে থানায় মামলা করেছিলো। আমরা কোনো হুমকি দিচ্ছি না।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, এক গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ দিয়ে তার দেবরকে ও তার বউকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় দেবব আলমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছিলো। শুনেছি সে জামিনে বেড়িয়েছে। হুমকির বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব