জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় আকলিমা খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী হেলাল উদ্দিন-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে নিহত গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি।
বৃহস্পতিবার (২৪) সকালে উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের নয়াগ্রাম স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আকলিমা উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের খুটার চর গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত পাষন্ড স্বামী উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের নয়া গ্রামের মুল্লুক মিয়ার ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় ৮ বছর আগে আকলিমার সঙ্গে নয়া গ্রামের মো. হেলালের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বুধবার রাতে ধান বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে আকলিমার সঙ্গে স্বামী মো. হেলালের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। এ সময় তাঁদের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ পরে তাদের সাড়াশব্দ না পাওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলা মিটে গেছে বলে এগিয়ে আসেননি প্রতিবেশীরা।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে আকলিমার ৬ বছরের ছেলে মাকে ডেকে ডেকে কান্নাকাটি করলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘরের খাটের ওপর আকলিমাকে পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আকলিমার স্বামী মো. হেলাল ও শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন।
নিহতের মা বেহুলা বেগম জানান, ৭ বছর পৃর্বে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাকে নির্যাতন করতো। ইতি মধ্য তার একটি সন্তান হয়েছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাদের বাড়ীতে নিয়া যাই, বাড়ী থেকে ১১ দিন হলো তাকে ফুসলিয়ে এনে হত্যা করেছে, আমি বিচার চাই।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল চন্দ্র ধর জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্হলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। আকলিমার লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব