চিহ্নিত মাদক সম্রাট ঝলক ও তার সহযোগী ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার


জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া প্রকাশের সময় : ২০/০৫/২০২৩, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ /
চিহ্নিত মাদক সম্রাট ঝলক ও তার সহযোগী ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি চৌকস টিম ভেড়ামারায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক সম্রাট, একাধিক মাদক মামলার আসামী Red signal ওরফে ঝলক ও তার সহযোগী নিপুকে ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার রাতে ভেড়ামারা শহরের চামড়া পট্রিতে ডিবি পুলিশ অভিনব কায়দায় অভিযান চালিয়ে তাদের কে ফেন্সিডিল সহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত চিহ্নিত মাদক সম্রাট ঝলক কাচারিপাড়ার মটর সাইকেল মেকার বক্কর’র পূত্র ও নিপু চাঁদগ্রাম এলাকার মৃত নুরবক্স এর পূত্র। তাদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। মামলা নম্বর ২০, তাং- ২০/০৫/২০২৩ইং, ধারা- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১৪ (খ)।

জানা যায়,ভেড়ামারার শীর্ষ চুরি,ছিনতাই,দস্যুতা,ফিটিং-সহ সর্ব অপরাধ সংশ্লিষ্টতার সক্রিয় সদস্য ভেড়ামারা পৌর-৯নং ওয়ার্ডের (বর্তমান পৌর ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের)মৃত রেজাউল হকের ছেলে কুষ্টিয়া জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়দানকারী-কথিত সোর্স রাশেদুজ্জামান রোকন ওরোফে ফিটিং রুপম সিন্ডিকেটের হোতা- মাদক, অস্ত্র, জমি দখল, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের মাষ্টার মাইন্ড এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী Red signal নামে কুখ্যাত,আহসান হাবিব ঝলক ও তার সহযোগী নিপু ভেড়ামারার শহরের সনো গলি, চামড়া পট্রি, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের আশেপাশে , ব্র্যাক অফিসের সামনে সহ মাইক্রোষ্ট্যান্ডের এলাকায় প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিল বিক্রি করে যাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, শহরের চামড়া পট্রিতে মাদক বিক্রি করছে মাদক ব্যবসায়ী ঝলক ও নিপু।

এই সংবাদের ভিক্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম ক্রেতার বেশে মাদক সম্রাট ঝলক ও নিপুর নিকট পৌঁছায়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে মাদক বিক্রেতা ঝলক ও নিপুর কাছে থাকা ফেন্সিডিল বিক্রির উদ্দেশ্য ডিবি পুলিশের নিকট দিতে গেলে ০৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ, সাব্বির হোসেন জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঝলক ও নিপু মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

পত্রিকা একাত্তর/ আনোয়ার হোসেন