খুলনা জেলা বটিয়াঘাটা উপজেলা সুখদাড়া এলাকায় সুখদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর নতুন নিয়মিত কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত এবং বিদ্যালয়ের দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কর্তৃক স্থানীয় পত্রিকায় গত ইং ২৩/০২/২০২৩ তারিখ প্রকাশিত বিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত প্রসঙ্গে আবেদনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউপি মেম্বার রমেন্দ্র নাথ রায় তার বক্তব্যে বলেন, আমি নিজে উক্ত বিদ্যালয়ের একজন সাবেক সভাপতি ছিলাম। বর্তমান ৪ নং সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সুখদাড়া গ্রামের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। আপনার নিকট আমার লিখিত অভিযোগ, উপরোক্ত বিষয় সুখদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত নতুন কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ, আইনের পরিপন্থি, কারন সুখদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, গোবিন্দ কুমার মন্ডল, একজন সুচতুর, দূর্নীতিবাজ ও অর্থ আত্মসাৎকারী ব্যক্তি। এমনকি তাহার নিজের নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ। উক্ত বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মচারী চতুরতার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের নতুন নিয়মিত কমিটি গঠনে প্রধান শিক্ষক সুচতুর অবস্থায় দূর্নীতির মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামীদেরকে এবং বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেছে।
এই নতুন কমিটির সভাপতি- আবু বক্কর শেখ, পিতা- মৃত: হোসেন আলী শেখ, সে একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি, সে রাষ্ট্রীয় বিরোধী নাশকতা বিষয়ক কর্মকান্ডে জড়িত। নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় চার্জ শীট ভূক্ত অভিযুক্ত আসামী, যার কেস নং- এস,টি,সি, ৫১ ও ৫২, যাহা মাননীয় অতিরিক্ত জেলা জজ, খুলনা, ১ম আদালতে বিচারাধীন, তাছাড়া জি, আর কেস নং- ৬৪/২০২০, বাদী- অনিমেশ শীল, আসামী- আবু বক্কর শেখ, একইভাবে ঐ নতুন কমিটিতে শিক্ষক প্রতিনিধি করেছে, ঐ বিদ্যালয়ের দুশ্চরিত্র শিক্ষক, আজাদুর রহমান তরফদার, পিতা-মৃত: নুর আলী তরফদারকে, সে বিভিন্ন মামলার অভিযুক্ত আসামী আজাদুর রহমান তরফদার একই গ্রামের বাদী- রিতা রানী শীল, কেস নং- ৯৩/১২, যা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল, খুলনায় ধারা ১০/৩০ স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট আদালতে বিচারাধীন। আজাদুর রহমান তরফদার নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় চার্জ শীট ভূক্ত অভিযুক্ত আসামী, যার কেস নং- এস,টি,সি, ৫১ ও ৫২, যাহা মাননীয় অতিরিক্ত জেলা জজ, খুলনা, ১ম আদালতে বিচারাধীন। এই আজাদুর রহমান তরফদার একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি, সে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপ অতীতে ও বর্তমান করে আসছে।
তাছাড়া এই নতুন কমিটিতে বিদ্যুৎসাহী একজন হত্যা মামলার আসামী, মোঃ হোসেন আলী শেখ, পিতা- আঃ মালেক শেখ, সাং- বারো ভূঁইয়া, থানা- বটিয়াঘাটা কে দূর্নীতির মাধ্যমে এই প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করেছে। হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী হোসেন আলী এর বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা নং- ০৮,তাং- ১৫/০৪/২০১৭, ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ।
উক্ত বিদ্যালয়ে সুচতুরভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যা মামলার আসামীসহ বহু মামলার আসামীদের নিয়ে নতুন পকেট কমিটি
করলে বিদ্যালয়টির কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ব্যবস্থা সহ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে বলে, আমার ধারণা। তাছাড়া বে-সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিধিমালায় উল্লেখ আছে যে, বিদ্যালয়ের কোন কমিটিতে কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কোন মামলার অভিযুক্ত আসামী হলে ঐ সদস্য কোন কমিটিতে থাকতে পারবে না বা রাখা যাবে না। কি কারনে, কিসের বিনিময়ে ঐ সুচতুর, দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক, তিন তিনজন ব্যক্তিকে নিয়া হত্যা মামলা, নারী শিশু মামলা ও রাষ্ট্রবিরোধী মামলার আসামীদের নিয়ে নতুন কমিটিতে সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি এবং বিদ্যুৎসাহী সদস্য নির্বাচিত করেছে, তা আমার বোধগম্য নয়।
মহাত্মন, সুচতুর প্রধান শিক্ষক ঐ অবৈধ কমিটি নিয়া গত ইং ২৩/০২/২০২৩ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চলেছে, যাহা সম্পূর্ণ আইন বর্হিভূত, অবৈধ, বে-আইনী।
অতএব মহাত্মনের নিকট আবেদন, আমি একজন জনপ্রতিনিধি, ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এবং এলাকার সচেতন ব্যক্তি হিসেবে অভিযোগ করিতেছি যে, সুখদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঐ নতুন নিয়মিত কমিটির সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণ বাতিল এবং ঐ অবৈধ কমিটি কর্তৃক ইং ২৩/০২/২০২৩ তারিখের প্রকাশিত নিয়োগের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য সবিনয় আবেদন করেছি। স্কুলের সভাপতি আবু বক্কর শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- এ বিষয়ে আমি জানি, যশোর বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী কমিটি করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ এ. ইসলাম