নড়াইলে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত, আহত ৫


জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল প্রকাশের সময় : ১৬/০৫/২০২৩, ৬:০৯ অপরাহ্ণ /
নড়াইলে মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত, আহত ৫

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের রামকান্তপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক কাজী মহিউদ্দিনের স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী খানম (৫০) নিহত হয়েছেন।

তিনি তেঁতুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা ছিলেন। এ ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,ওই শিক্ষিকার স্বামী কাজী মহিউদ্দিন লাহুড়িয়া হাফেজ আব্দুল করিম একাডেমীর প্রধান শিক্ষক। কাজী মহিউদ্দিন প্রতিদিনের ন্যায় সকাল নয়টার দিকে স্ত্রী নিহত শিল্পী খানমকে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রামকান্তপুর এলাকায় মাটি বহনকারী টলির (মাটিকাটা ট্রলি) ফেলে দেওয়া মাটিতে রাতে বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে রাস্তার পিচ্ছিল হওয়ায় মোটরসাইকেল স্লিপ করলে মটর সাইকেলের আরোহী শিক্ষিকা শিল্পী খানম পড়ে যায়। সেই মুহূর্তে চলন্ত ইজিবাইক এসে শিল্পী খানমকে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। এদিকে ওই ইজিবাইকে থাকা ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।

শালনগর ইউনিয়নের লাবু মিয়া বলেন, আহত শিল্পী খানম আমার একমাত্র বোন। তার ৩টি পুত্র সন্তান রয়েছে। শিল্পী খানম কে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। লোহাগড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। শিল্পী খানমের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিল্পী খানমের গ্রামের বাড়ি পারশাল নগর এবং শ্বশুর বাড়ি লাহুড়িয়া গ্রামে।

লাহুড়িয়া গ্রামের সহকারী শিক্ষক মিরাজ খাঁন বলেন, লোহাগড়া লাহুড়িয়া সড়ক এখন যেন মরণফাঁদ প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন অসংখ্য মাটি বহনকারী ট্রলি ইটভাটায় মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহনের ফলে রাস্তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, এ ধরনের দূর্ঘটনা দঃখজনক। মাটিকাটা ট্রলি থেকে পড়ে যাওয়া মাটিতে বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়। আমরা মাটিকাটা ট্রলির মালিক ও ড্রাইভার সাথে কথা বলে সচেতন করার চেষ্টা করবো। তারপর ও আমাদের আরো সতর্ক হয়ে মোটর সাইকেল চালাতে হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু