গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের একতাবাজার হতে বজরা খেয়াঘাট সড়কে কালভাট নির্মাণের তিন দিনের মধ্যেই ছাদ ভেঙে পড়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও স্ট্রিমেড প্লান ছাড়াই কালভাটটি নির্মাণ করায় ভেঙে পড়ে ছাদটি।
ভেঙে পড়া কালভাটের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় টনক নড়েছে প্রকল্প সভাপতি ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার জবেদ আলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের। ইতিমধ্যে পুনঃ মেরামতে কাজ শুরু করেছে।
জানা গেছে, ননওয়েজ প্রকল্পের বরাদ্দের মাধ্যমে ওই গ্রামে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে দু’টি কালভাট যৌথভাবে নির্মাণ করছেন একজন নারীসহ চারজন ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নামমাত্র কাজ করার কারণে নির্মাণের তিনদিনের মাথায় কালভাটটি ভেঙে পড়ে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাবিব মিয়া জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং প্লানস্ট্রিমেড ছাড়াই প্রকল্প সভাপতি নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কালভাটটি তৈরি করায় ছাদ ভেঙে পড়ে। কালভাটটি পুনঃমেরামত করা হলেও পথচারি ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হবে। কালভাট দু’টি মোটেও নিরাপথ নয়।
কালভাট নির্মাণ প্রকল্পের সদস্য ইউপি মেম্বার রেজাউল ইসলাম জানান, ননওয়েজ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বয়ে দু’টি কালভাট নির্মাণ করা হচ্ছে। সামান্য ত্রুটির কারণে কালভাটের ছাদটি ভেঙে গেছে। ইতিমধ্যে পুনঃমেরামতে কাজ চলছে।
বেলকা ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারি প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, প্রকল্প নির্বাচন করার পর তাদের মাধ্যেমে শুধুমাত্র প্লানস্ট্রিমেড করে নেন। কাজের তদারকির সময় তাদেরকে ডাকা হয় না। বাস্তবায়ন করেন ইউনিয়ন পরিষদ এবং এটি দেখভাল করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল জানান, বিষটি তিনি জানেন। ভেঙে যাওয়া কালভাটের ছাদ পুুনঃমেরামতের জন্য প্রকল্প সভাপতিকে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মেরামত শুরু হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ হযরত বেল্লাল
আপনার মতামত লিখুন :