বগুড়া মাজারের জ্বীনের বাদশা চক্রের ১ সদস্য গ্রেপ্তার


উপজেলা প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ প্রকাশের সময় : ১১/০৫/২০২৩, ৫:১৫ অপরাহ্ণ /
বগুড়া মাজারের জ্বীনের বাদশা চক্রের ১ সদস্য গ্রেপ্তার

বগুড়ার মহাস্থানগড় শাহ্ সুলতান মাজারের জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নারী-পুরুষের নিকট হতে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালকার হাতিয়ে নেয়া জ্বীনের বাদশা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য সাদ্দাম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের বানিজ মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগমের নিকট হতে বিকাশে ১ লাখ ৮০ হাজার ও স্বর্ণালকার বাবদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত বুধবার দিবাগত রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান সঙ্গীর্য় ফোস নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর নলডাংগা গ্রামের চর হতে সাদামকে গ্রেপ্তার করে। সাদ্দাম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বগুলাগাড়ী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন মিট দ্যা প্রেস করেছেন।

আকলিমা জানান, গত ৮ এপ্রিল রাতে বগুড়া মাজারের জ্বীনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে তাকে বলেন মা তুমি অনেক পূণ্যের কাজ করেছ, তুমি সতী নারী। মা ফাতেমা (আঃ) সহিত তুমি বেহেশতে যাবে। আল্লাহ তোকে পছন্দ করেছে, তুমি সাতটি গুপ্তধনের হাড়ি পাবে। এই কথা বলে বিভিন্ন সময়ে বিকাশে তার নিকট থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়।

এরপর গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার মজুমদার হাইস্কুল মাঠে তিনজন অজ্ঞতানাম ব্যক্তি তাকে একটি পিতলের পুতুল দিয়ে তার নিকট থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণালকার হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ সময় প্রতারক চক্রের সদস্যরা আকলিমাকে জানায় ওই পুতুলটি বাড়িতে মাটির নিচে পুতে রাখলে গুপ্তধনের সাতটি হাড়ি পাওয়া যাবে। বিষয়টি প্রতারণা জানতে পেয়ে আকলিমা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে।

থানার ওসি কে এম আজরিুজ্জামান জানান, প্রতারক চক্রটি অসংখ্য নারী ও পুরুষের নিকট হতে অনেক অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পত্রিকা একাত্তর/ হযরত বেল্লাল