নড়াইলে ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীদের পূর্নবাসনে অনুদান প্রদান প্রদান করা হয়েছে।
শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ভিক্ষুক পূর্নবাসন কার্যক্রমের আওতায় মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় পুরাতন টার্মিনালস্থ সমাজ সেবা কার্যালয়ে পৌর এলাকার ৭জন ভিক্ষুকের মাঝে অনুদান হিসেবে ছাগল, মুরগী, খাচা ও নগদ অর্থ অনুদান হিসেবে ৭৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ৫জন প্রতিবন্ধীর মাঝে গাভী পালন, ছাগল পালন, মুদী ব্যবসা ও ভাংড়ী ব্যবসার জন্য ১লাখ ৬৫ হাজার টাকার সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। এছাড়া বরাশুলা জেলা কারাগার সংলগ্ন জামেয়া এমদাদিয়া এতিমখানার ১৫ জন এতিমের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ৬মাসের ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বাবদ মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রতন কুমার হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো: সুজাউদ্দিনসহ সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
শহর সমাজ সেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষুক পূর্নবাসন কার্যক্রমের আওতায় নড়াইল পৌর এলাকার মালেক মোল্যার স্ত্রী বেগমকে ২টি ছাগল ক্রয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা, আনসার আলীর স্ত্রীকে রিজিয়া বেগমকে চা দোকানের পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৭হাজার টাকা, ডুমুরতলার ইসরাইল মোল্যার স্ত্রী হালিমা বেগমকে ১ টি ছাগল ক্রয়ের জন্য ৭ হাজার টাকা, ভাটিয়া গ্রামের মদন মৃধার স্ত্রী মাজু বিবিকে ১ টি ছাগল ক্রয়ের জন্য ৭হাজার টাকা, মাছিমদিয়া গ্রামের রুহুল সর্দারের স্ত্রী স্ত্রী মাজু বিবিকে মুরগী ও খাচা ক্রয়ের জন্য ৭ হাজার টাকা, ডুমুরতলার ইসরাইল মোল্যার স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে মুরগী ও খাচা ক্রয়ের জন্য ৭হাজার টাকা, ভাটিয়া গ্রামের অধীর কুমার অধিকারীকে ২টি ছাগল ক্রয় ও লোন পরিশোধের জন্য ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
এছাড়া বরাশুলার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রুমা বেগমকে গাভী পালনের জন্য ৩০ হাজার টাকা, মহিষখোলার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইলিয়াছ মোল্যাকে ছাগল পালনের জন্য ৩০হাজার টাকা, মহিষখোলার শারীরিক প্রতিবন্ধী ফুল মিয়াকে মুদি ব্যবসার জন্য ৩০হাজার টাকা, আলাদাতপুুরের শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগমকে ভাংড়ী ব্যবসার জন্য ৩০হাজার টাকা এবং দুর্গাপুরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ফরিদা পারভীনকে ছাগল পালনের জন্য ৪৫ হাজার টাকার সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।
পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু
আপনার মতামত লিখুন :