শেরপুরের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম কর্তৃক মিথ্যা বন মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দেয়ায় উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে ৪ সাংবাদিক আবেদন করেছেন। ৮মে সোমবার দুপুরে এ আবেদন করা হয়।
আবেদনকারী সাংবাদিকরা হলেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু হেলাল, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি খোরশেদ আলম, জনকণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি আরএম সেলিম শাহী, মানব কন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক।
সাংবাদিকদের দাখিল করা আবেদনের সুত্রে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল শনিবার কালবৈশাখী ঝড়ে গজনী ও তাওয়াকুচা বিটের সামাজিক বনায়নের ওডলট বাগানের শতশত গাছ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বনআইনের নিয়মানুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলো শনাক্ত ও তালিকাকণের পর গাছগুলো কেটে বনের নির্দ্দিষ্ট স্থানে একত্র করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে উপকার ভোগীরা ৬০% টাকা আর বনবিভাগের পক্ষে সরকার পাবে ৪০% টাকা। সেক্ষেত্রে বনবিভাগ ও অংশিদাররা অধিক লাভের জন্যে এবং সরকারের রাজস্ব্য ফাঁকি দিতে তারা গোপন বৈঠকে নিজেদের মধ্যে দফারফা করে। এই সুযোগে ঝড়েপড়া গাছের সাথে শতশত ভাল গাছ কাটার মহোৎসব লেগে উঠে। পাচার হতে থাকে শতশত ট্রলী চুরাই কাঠ। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১মে শনিবার বিকেলে সাংবাদিকরা প্রথমে বাকাকুড়া পরে গুরুচরণ দুধনই বাজারে চোরাই কাঠের ছবি তোলতে গিয়ে মকরুল বাহিনী কর্তৃক লাঞ্ছিতের শিকার হন।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে সাংবাদিকরা চলে আসেন। পরে একই দিন রাতে মানব কন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক বাদীর হয়ে ৪ জন সহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা সহ বনের কাঠ হরিলুটের সংবাদ প্রকাশ করে। ফলশ্রুতিতে রেঞ্জার মকরুল তার বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজির মিথ্যা ও ভুয়া ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার চালানো সহ গত ৭ মে উপজেলার বাকাকুড়া বাজারে দুই শতাধিক লোক দিয়ে মানববন্ধন করায়। শুধু তাই নয়, মকরুল ও তার বাহিনী প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি সহ মিথ্যা বন মামলা দেয়ার হুমকিও দেন মকরুল বাহিনীর প্রধান মকরুল ইসলাম আকন্দ ও তার বাহিনী।
ফলে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্যে এবং মিথ্যা বন মামলা থেকে বাঁচতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী ওই ৪ সাংবাদিক।
এ ব্যাপারে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ ৪ সাংবাদিকের আবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো”।
পত্রিকা একাত্তর/ আবু হেলাল
আপনার মতামত লিখুন :