বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে মিলছে না ইলিশ – হতাশ জেলেরা


উপজেলা প্রতিনিধি, পাথরঘাটা প্রকাশের সময় : ০৮/০৫/২০২৩, ২:২৮ অপরাহ্ণ /
বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে মিলছে না ইলিশ – হতাশ জেলেরা

বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে মাছ না থাকায় হতাশায় দিন কাটছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হাজারো জেলে পরিবারের। কি দিয়ে তাদের পরিবার চলবে এই হতাশায় প্রতিদিন পার করছি আমরা এমনকি আমাদের জীবনযাপন করাটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। নদীতে মাঝে মাঝে দুই একটি ইলিশ ধরা পরলেও অধিকাংশ সময় শূন্য হাতে তীরে ফিরতে হচ্ছে। নদীতে মাছ নেই এছাড়াও দৈনন্দিন জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেকেই জেলে পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

পাথরঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়নের পদ্মা সুইচগেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ওই এলাকার অধিকাংশ ট্রলারে ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় জেলে কালাম হোসেন , রুবেল হোসেন , নজরুল ইসলাম বলে, গত বছরের তুলনায় এবছর নদীতে মাছ অনেক কম। মাঝে মাঝে দুই একটি ইলিশ ধরা পরলেও তা বিক্রি করে আর সংসার চলেনা। এমনকি নদীতে যাওয়া আসা খরচ টাই হচ্ছেনা। মা-বাবা, ছেলে মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী আরদ্ধার রতন মিয়া বলেন, গতবছর এই সময় প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই মন ইলিশ বিক্রি করেছি। কিন্তু এ বছর নদীতে মাছ না থাকায় এখন প্রতিদিন এক থেকে দেড় মন ইলিশ বিক্রি করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। গতবছর প্রতি মন ইলিশ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছি। এখন ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা মন। গত বছরের তুলনায় এ বছর মাছের দাম বেশ চড়া। এর প্রভাব পড়েছে হাট বাজার সকল মালামালের উপর। এমন চলতে থাকলে মাছ কেনাবেচা করাটাই কঠিন হয়ে পড়বে।

সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, পাথরঘাটার শতভাগ মানুষ কোন না কোনভাবে মৎস্য ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। নদীতে মাছ পেলেই কেবল উপকূলের মানুষের হাতে টাকা থাকে। এমন সময় নদীতে মাছ না পাওয়ায় তাদের জীবন অনেক কষ্টে কাটছে বর্তমানে।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে স্রোত ও গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ বিচরণের জন্য অনুকূল, পরিবেশ নেই এবং বিভিন্ন সময় সুন্দরবনের, বিভিন্ন খালে ওষুধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন কিছু দুষকারিত লোক। তাই পানি বিষাক্ত হবার কারণে। উপকূলে এখন আগের মতো জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না।

পত্রিকা একাত্তর/ তাওহীদুল ইসলাম