বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই পবনতলার, বাইতুন নূর জামে মসজিদের ভুয়া রেজুলেশন ও বিল ভাউচার দিয়ে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে কালিয়াতলা এলাকার গাছতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের কমিটির সদস্য শিক্ষক ইয়াহিয়া, শেখ ইউনুসসহ কয়েকজন যোগসাজশে জেলা পরিষদে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন। তারা পাশের গ্রামের পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে ভূয়া রেজুলেশন, ভূয়া কমিটি ও সিল সই জাল করে জেলা পরিষদের বরাদ্দ থেকে দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটিসহ এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপর গাছতলা জামে মসজিদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও অর্থ সম্পাদক শিক্ষক ইয়াহিয়ার সাথে কথা বলেন।
পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক সরদার মাঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে পবনতলা মসজিদের নামে বরাদ্দ এনে তা তারা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছে গাছতলা মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য। পবনতলা মসজিদ কমিটির সদস্যগণ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাগেরহাটের জেলা পরিষদে গিয়ে নথিপত্রে এমন জালিয়াতির চিত্র দেখতে পান।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গাছতলা মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য পবনতলা মসজিদ কমিটির সদস্যদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে পরিস্থিতি ধামাচাপার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ শিক্ষক ইয়াহিয়া ও ইউনুস আলী পবনতলা মসজিদের নামে বরাদ্দের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। আমাদের মসজিদের নামে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। জেলা পরিষদ থেকে প্রিন্ট মিস্টেক হয়েছে। আমরা টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করিনি। টাকা খরচও করিনি।নথিপত্র দেখতে পারেন।
বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি , অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/আবু তালেব
আপনার মতামত লিখুন :