রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ইউনিয়নের এক যুবককে পুলিশের হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে বাড়ি থেকে অপহরণপূর্বক মারপিট ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানার (২৪) একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গঙ্গাচড়া মডেল থানার এসআই খায়রুল বাশার ৫ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করলে রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক এসএম শফিকুল ইসলাম সাগর ঐ পুলিশ সদস্য মাসুদ রানার একদিনের রিমাণ্ড আদেশ মঞ্জুর করেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অপহরণ মামলায় অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অপহৃত সোনা মিয়ার বাবা নুর ইসলাম।
গত ১৭ এপ্রিল পঞ্চগড় পুলিশ লাইন্সে প্রেষণে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানাকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসুদ রানা গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পশ্চিম মনিরাম এলাকার আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল রাত ১টায় গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নুর ইসলাম আপাছের বাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত ৭ জন যুবক ঢুকে তার ছেলে যুবক সোনা মিয়াকে মারপিট করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে সোনা মিয়ার প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার মাধ্যমে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের ওয়ানুরের চাতাল থেকে সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা।
পত্রিকা একাত্তর/ সানজিম মিয়া