বিটিসিএল এর সরকারি ভবনে চামড়ার গুদাম: দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ


উপজেলা প্রতিনিধি, পাথরঘাটা প্রকাশের সময় : ২৯/০৪/২০২৩, ৩:১৩ অপরাহ্ণ /
বিটিসিএল এর সরকারি ভবনে চামড়ার গুদাম: দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

বরগুনার পাথরঘাটায় বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর অফিসে পরিত্যক্ত বিল্ডিংএ চামড়ার গুদাম বানিয়েছে স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ী হালিম মিয়া। বিটিসিএল অফিসের কর্মকর্তার তোয়াক্কা না করি ওই বিল্ডিংয়ে চামড়া রাখে বলে জানিয়েছেন বিটিসিএল কর্মকর্তা। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা সহ আসেপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এ নিয়ে বিটিসিএল কতৃপক্ষ সহ পৌর মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা বলেন বিটিসিএল কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এখানে কাঁচা চামড়া মজুদ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় প্রবেশের একমাত্র গেটটি খোলা। বিটিসিএল একটি পরিত্যাক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে একজন লোক নিচে নামছে। তার সাথে কথা বলে জানাযায় ওই চামড়া স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ী হালিম মিয়ার। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিটিসিএল এর পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে চামড়ার সংরক্ষণ করছে।

ওই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করতেই দেখা মিলল স্তূপাকারে কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর পাশের আর একটি রুমে গরুর হার ফেলে রাখ। চারপাশে রক্তমাখা পানি ফ্লোরের সাদ চুষে নিচতলায় পরছে। চারপাশে মাছি ও পোকা কিলবিল করছে। পাথরঘাটা থানার সামনে অবস্থিত বিটিসিএল অফিসের এমন অবস্থায় খোব প্রকাশ করেছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা মো: আনোয়ার হোসেন, মিতু, মনির, নাসির জানান, পাথরঘাটা টিএন্ডটি (বিটিসিএল) অফিসের হালিম মিয়া নামের এক কসাই জবেহকৃত গরুর চামড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে চারপাশের পরিবেশকে দূষিত করছে। পুরো রমজান মাসটা কাটিয়েছি দুর্গন্ধ ভড়া বাতাসে মধ্যে। এ দেখার যেন কেউ নেই। এই অতিরিক্ত দুর্গন্ধের কারণে আমরা বাসা ভাড়া দিতে পারিনা। মশা মাছির কারণে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। পাথরঘাটা পৌর মেয়র-কাউন্সিলরকে অবহিত করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

তারা আরো বলেন, টিএন্ডটি (বিটিসিএল) অফিসের পাশে পাথরঘাটা থানা, জামে মসজিদ, ক্যাডেট মাদ্রাসা সহ বরিশালের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমির।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিটিসিএল এর অফিস পরিত্যক্ত বিল্ডিংএ স্থানীয় মাংস বিক্রেতারা চামড়া সংরক্ষণ করত। এর আগেও বেশ কয়েকবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এগুলো সরিয়ে নিয়েছিল তারা। কিন্তু পরবর্তীতে আবার একইভাবে পরিত্যক্ত বিল্ডিংএ চামড়া সংরক্ষণ করা হচ্ছে। দম বন্ধ না করে এখান থেকে চলাচল করা যায়না। এটি দেখার জন্য কেউ নেই।

অভিযুক্ত হালিম মিয়ার সাথে চামড়া রাখা বিষয় আনতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা ভাঙ্গা বিল্ডিং দীর্ঘদিন যাবত পড়েছিলো তাই পরিষ্কার করে ওখানে চামড়া রেখেছি।

পাথরঘাটা বিটিসিএল অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আব্দুল বারী আজাদ বলে, এ সম্বন্ধে তিনি কিছুই জানেন না। এ নিয়ে হালিম মিয়াকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি সেখান থেকে চামড়া সরিয়ে নিচ্ছে না।

এবিষয়ে পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, বিষয়টি আমার যানা নেই। এবিষয়ে অতিশীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ তাওহীদুল