সকালে বাবা বাড়িতে অবস্থান করলেও দুপুরে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে ফাঁস দিয়ে মোছা. মনিকা (১৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।
মৃত গৃহবধূ মনিকা জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামের সদাগর মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং পাশ্ববর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার ভাটি কলকিহারা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বামীর বসতঘর থেকে ইসলামপুর থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে।
ইসলামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ মনিকা স্বামী শফিকুল ইসলামের বসতঘরের ধর্ণার সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
মনিকার স্বামী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী মনিকা নিয়ে বাড়িতে আসি। বাড়ি এসে জরুরি কাজে বাড়ির বাহিরে গেলে এই সুযোগে মনিকা গলায় রশি বেধে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।’
মৃত মনিকার বাবা মজিবর রহমান বলেন, ‘ঈদের পরদিন জামাতা শফিকুল ইসলাম আমাদের বাড়িতে আসে। বুধবার (২৬এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে আমাদের বাড়ি থেকে মনিকাকে নিয়ে জামাতা শফিকুল তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুপুরে আমাদের খবর দেওয়া হয় মনিকা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বছরখানেক আগে পারিবারিক ভাবে মনিকাকে বিয়ে দেওয়া হয়। ভালোই যাচ্ছিল মেয়ে-জামাতার সংসার। কী কারণে মেয়ে ফাঁস দিয়ে মারা গেলো, সেটা ভাবতে পারছি না।
ইসলামপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাদের জানানো হয়, ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
ইসলামপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মৃতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পত্রিকা একাত্তর/ নাহিদ
আপনার মতামত লিখুন :