এ কেমন বর্বরতা!


জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর প্রকাশের সময় : ২০/০৪/২০২৩, ৩:২৮ অপরাহ্ণ /
এ কেমন বর্বরতা!

মোজাহার আলী ওরফে সিক্কু একজন প্রান্তিক কৃষক। নিজের কোন জমিজমা নেই। প্রতিবেশির কাছ থেকে ৬হাজার টাকা বছর চুক্তিতে ২৫ শতক জমি বন্ধক নেয়। সেই জমিতে সিক্কু মিয়া দায়-দেনা করে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা খরচ করে করলা চাষ করেন। সিক্কুর রুপিত করলা ক্ষেতে ফসলও আসা শুরু হয়েছে। যেখান থেকে তার আয় হতো ৪-৫ লক্ষ টাকা। কিন্ত সবে কদরের গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা সিক্কুর পুরো ক্ষেতটা কেটে তছনছ করে দেয়। ফলে কৃষক সিক্কুর সকল লালিত স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের কুছাইকুড়া গ্রামে।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুছাইকুড়া গ্রামে বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোজাহার আলী ওরফে সিক্কু একজন সহজ সরল ও প্রান্তিক কৃষক। তার নিজস্ব্য কোন আবাদী জমি নেই। ৬ হাজার টাকায় বছর চুক্তিতে ২৫ শতক জমি নিয়ে লিজ নেন সিক্কু মিয়া। এতে বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করেন তিনি। গেল ৪ মাস আগে ৬৫ হাজার টাকা দায় দেনা করে করলা আবাদ করেন। ইতিমধ্যে ক্ষেতে ফলনও আসা শুরু হয়েছে। কিন্তু কে বা কাহারা রাতের অন্ধকারে ক্ষেতটি কেটে দেয়।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ওয়াজ কুরুনী মিন্টু’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সিক্কু একজন সাধারণ ও নিরীহ কৃষক। তার সাথে কাহারো কোন ঝগড়া বিবাদ নেই। কেন তার সাথে এমনটি হলো বুঝতে পারছিনা। তবে আমরা অনুসন্ধান করছি। অপরাধী সনাক্ত করা গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভুক্তভোগী কৃষক মোজাহার আলী ওরফে সিক্কু প্রকৃত অপরাধিকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন দিলদার এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এটা দুঃখজনক একটি ঘটনা। তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনে একাধিক প্রদর্শনী দেয়া হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ আবু হেলাল