জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টায় তাহমিনা গর্ভপাত করতে রাজী না হওয়ায় জান্নাত (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শাশুড়ী সহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন- নিহত গৃহবধূর শাশুড়ী উষা, নানী শাশুড়ী আকলিমা ও দেবর শরীফ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেওলিয়াবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহমিনা জান্নাতের পিতা ইব্রাহিম খলিল জানান- চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেওলিয়াবাড়ি গ্রামের মজনু ওরফে মুমু মিয়ার ছেলে আনসার সদস্য উজ্জল মাহমুদের সাথে বিয়ে হয় তার মেয়ে তাহমিনা জান্নাতের। বিয়েতে উজ্জল মাহমুদকে নগদ ৬ লাখ টাকা, ১ লাখ মূল্যের গয়না ও ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন তিনি। এরপরও মাঝে মাঝে যৌতুকের টাকার জন্য তাহমিনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতো উজ্জল মাহমুদ ও তার পরিবার। এরই মধ্যে গর্ভবতী হয় তাহমিনা জান্নাত।
ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করে আরও বলেন- “গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে আমার মেয়ে তাহমিনার উপর নির্যাতন বাড়িয়ে দেয় উজ্জল ও তার পরিবার। মঙ্গলবার রাতে ইদের ছুটি পেয়ে বাড়িতে আসে উজ্জল। বাড়িতে এসেই গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে উজ্জল ও তার পরিবার। এই কাজে রাজি না হলে রাতে ঘরের দড়জা-জানালা বন্ধ করে পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করে উজ্জল ও তার পরিবারের সদস্যরা।”
তাহমিনা জান্নাতের নানা আব্দুল জলিল বলেন-“ গর্ভপাত ঘটাতে রাজী না হওয়ায় উজ্জল ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার নাতি তাহমিনাকে প্রথমে হাত ও পায়ে পরে সারা শরীরে পিটিয়ে হত্যা করে। আমরা এর বিচার চাই।”
এসব বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জানান- রাত ১২টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাহমিনা জান্নাতের অচেতন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাহমিনা জান্নাতের। এই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকেই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও নিহতের পরিবারের মাধ্যমে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
পত্রিকা একাত্তর/ সাকিব
আপনার মতামত লিখুন :