সরকারী প্রণোদনার সার ও বীজ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধারের ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করেন।
এতে গঙ্গাচড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহাকে আহ্বায়ক, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদুল হক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আফতাবুজ্জামানকে সদস্য করা হয়েছে।
এ কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ইউএনও বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে রোববার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হককে আহ্বায়ক এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শামিমুর রহমান ও খালেদুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, সরকারী প্রণোদনার বীজ ও সার উদ্ধারের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার আলমগীর হোসেন ওরফে ভাঙ্গারী আলম (৫০) নামের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কৃষি প্রণোদনার ১৬৭ বস্তা ধান বীজ, ১ বস্তা পাট বীজ ও ১২ বস্তা রাসায়নিক সার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয় । স্থানীয়দের অভিযোগ, কৃষি অফিসের যোগসাজশে সরকারী প্রণোদনার সার ও বীজ পাচার করা হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/ সানজিম মিয়া
আপনার মতামত লিখুন :