মিথ্যা ওয়ারেশ দিয়ে কোটি টাকার জমি নিজ নামে নেয়ার অভিযোগ


জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল প্রকাশের সময় : ১৪/০৩/২০২৩, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ /
মিথ্যা ওয়ারেশ দিয়ে কোটি টাকার জমি নিজ নামে নেয়ার অভিযোগ

নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা এলাকায় আপন ভায়ের নাম ওয়ারেশ কায়েম থেকে বাদ দিয়ে মিথ্যা ওয়ারেশ কায়েম দিয়ে গোপনে কোটি টাকার জমি নিজ নামে নামপত্তন করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভাই দিলিপ অধিকারীর বিরুদ্ধে।

বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টির সুরহার জন্য দিলিপ অধিকারীর আপন ভাই লংকেরশ^র চন্দ্র অধিকারী দিশেহারা হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে পৌর ভূমি অফিসে ১৫০ ধারায় নামপত্তন বাতিলের জন্য আবেদন দিয়েছেন ভূক্তভোগি নিজে।

এদিকে দিলিপ অধিকারী এ সকল জমি বিক্রি করার জন্য পাইতারা করে বেড়াচ্ছে। দ্রুত বিষয়টির প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগির পরিবার।

জানাগেছে, নড়াইল পৌরসভার ধোপাখোলা গ্রামের মৃত বিমল চন্দ্র অধিকারী মৃত্যুকালে দুই ছেলে রেখে যান। পারিবারিক সুত্রে পাওয়া জমি ভাইদের মধ্যে ভাগবটয়ারা করার ভয়ে দিলিপ অধিকারী ২০২২ সালের আগোষ্ট মাসে পৌরসভায় তথ্য গোপন করে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু মোল্যার প্রতিবেদনে মেয়রের কাছ থেকে একটি ওয়ারেশ কায়েম নেন। সেই ওয়ারেশ কায়েমে আপন ভাই লংকেরশর চন্দ্র অধিকারীর নাম বাদ দেন।

ওয়ারেশ কায়েম নিয়ে একমাস পরেই তড়িঘড়ি করে ৬০ নং ধোপাখোলা মৌজার আরএস ৭১ নং খতিয়ানের এক একর ৩২ শতক জমি পৌর ভূমি আফিস থেকে আপন ভাইয়ের নাম বাদ দিয়ে নিজ নামে নামপত্তন করে নেন তার ভাই দিলিপ অধিকারী।

কিছুদিন পর বিষয়টির জানতে পারেন লংকেরশর চন্দ্র অধিকারী। গত ২২ জানুয়ারি ২০২৩ এ বিষয়ে ১৫০ ধারায় নামপত্তন বাতিলের জন্য আবেদন দিয়েছেন সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর।

ভূক্তিভোগি লংকেরশর চন্দ্র অধিকারী বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। আমাকে ফাকি দিয়ে আমার ভাই সব জমি নিজে নামে করে নিয়েছে। এখন আমার নামে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত দিলিপ অধিকারী বলেন, আমার ভাই লংকেরশর চন্দ্র অধিকারী আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সেই জন্য আমি এই কাজ করেছি। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু মোল্যা বলেন, এরকম কোন ওয়ারেশ কায়েম সনদ দিয়েছি বলে মনে পড়ছেনা। কেউ আমার নাম ব্যবহার করে ভুয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ তৈরী করেছে কিনা ওই কপি দেখলে বুঝতে পারতাম।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কশিনার(ভূমি) সেলিম আহমেদ বলেন, এ ধরনের অনিয়ম হলে সঠিক কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পত্রিকা একাত্তর/ হাফিজুল নিলু