মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) পটুয়াখালী সদর উপজেলার সকল স্কুল নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান কে কেন্দ্র করে মারামারি হয় এক পর্যায় মারামারি ঠেকাতে গিয়ে কিশোর গ্যাং এর হামলায় গুরুতর আহত হয় তাহসিন নামের এক যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার(১৭) আনুমানিক ১ টায় দৌড় প্রতিযোগিতায় শারিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাহিদুল অংশগ্রহণ প্রর্থীর পায়ের সাথে লেগে ডিবুয়াপুর স্কুলের এক প্রতিযোগি মাটিতে পড়ে যায়। ডিবুয়াপুর স্কুলে নাম না যানা মাটিতে পড়ে যাওয়া প্রার্থী, অঙ্গাত কিছু কিশোর কে ফোন দিয়ে নিয়ে এসে জাহিদুল কে পাশে নিয়ে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি মেরে জখম করে। পরে শারিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী তাহসিন মারামারি দেখে তা থামাতে চেষ্টা করে এক পর্যায় তাহসিনকে কিশোর গ্যাং এর হাতে থাকা ধারালো চাকু দারা পিছন দিয়ে বাম সিনায় নিচে আঘাত করে ফলে গুরুতর ভাবে আহত হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ম রত ডাক্তার তাহসিন কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরিশালে রেফার করে। বর্তমানে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে তাহসিন।
ঘটনা স্থানে থাকা কিশোর গ্যাং তাহসিন কে চাকু ডুকিয়ে মাঠের পাশের বাড়ি ঘরের ভিতরে দৌড়ে পালায় ও ঘটনায় জড়িত কিশোর গ্যাং এর একজন সদস্য কে স্থানীয় লোকজন ধরে পুলিশ এর কাছে তুলে দেয়।
পরে মোঃ তাহসিন(ভিকটিম) (১৫) এর বোন সালমা বেগম (২৪) পিতা মোঃ সেরাজ তালুকদার বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় ১.মোঃ শান্ত (২০) পিতা মোঃ জহিরুল ইসলাম, ২.মোঃ আবির হোসেন (২০) পিতা মোঃ ফোরকান দফাদার, ৩. অন্তিক (১৮) পিতা অঙ্গাত, ৪. মোঃ জিসান (১৯) পিতা অঙ্গাত, সর্ব সাং বহলগাছিয়া ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি কালিকাপুর থানা ও জেলা পটুয়াখালী সহ আরো অনেক কে বিবাদী করে মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ, মোঃ তাহসিন (ভিকটিম) (১৫) ঘটনা পরিদর্শন করতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ও চিকিৎসক এর সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, খুব তারাতারি উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজন কেও ছার দেয়া হবে না।
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মকর্তা চিকিৎসক বলেন, অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে গেছে। চাকু ভিতরে বেকিয়ে ডুকছে যদি খারা খারি ডুকতো তাহলেই ফুসফুস এ যেতো।অপারেশন ও রক্ত দেয়া হয়েছে এখন ঝুঁকি মুক্ত।আশা করছি খুব তারতারি সুস্থ হয়ে যাবে।
ভিকটিম তাহসিন এর বাবা বলেন, আমার ছেলে খুবই ভদ্র ও এ ধরনের মারামারি করতেই পারে না এমনকি ও এই প্রতিযোগিতায় ৪ টি পুরুষ্কার পেয়েছে। যারা আমার ছেলেকে খুন করতে চাইছে তাদের বিচার চাই।
ডিবুয়াপুর স্কুল এর শিক্ষকে এ বিষয় প্রশ্ন করলে তারা বলেন, যে ছেলেরা মারামারি করছে এরা আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থী না এমনকি এদের আমারা চিনি না।
শারিকখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজালাল মিয়া বলেন, এই কিশোর গ্যাং দের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। তিনি আরো বলেন, এরা যদি ডিবুয়াপুর স্কুল এর শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে আমি আশা করি ডিবুয়াপুর শিক্ষকরা এদের কে চিহ্নিত করে পুলিশ এর কাছে তুলে দিবেন।
নাম প্রকাশ না করা একজন বলেন, যারা মারামারি করছে এবং চাকু মারছে তারা অনেকেই কিশোর গ্যাং এর সদস্য। এরা প্রায়ই নানা ধরনের জামেলা করে থাকে।
পত্রিকা একাত্তর/ মারুফ ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :