সেচ্ছায় রক্তদানে জামালপুরের ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন


জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর প্রকাশের সময় : ১৮/০১/২০২৩, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ / ৪৬
সেচ্ছায় রক্তদানে জামালপুরের ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন

“আমার রক্তে বাঁচলে প্রাণ
করবো না কেন স্বেচ্ছায় রক্তদান”
“দুই বাহকের বিয়ে নয়, থ্যালাসেমিয়ার আছে ভয়”
বিয়ে আগে পরিক্ষা করলে রক্ত, সন্তান থাকবে থ্যালাসেমিয়া রোগ মুক্ত’ যোগার থাকলে দুই ব্যাগ রক্ত, মা-নবজাতকের জীবন থাকবে ঝুঁকিমুক্ত।

এই স্লোগানকে সামনে রেখে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ‘স্বেচ্ছায় রক্তদানে জামালপুর” এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ও থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারী ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আয়োজিত ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রমে তিনশতাধিক মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় ও থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়। জামালপুরের সরিষাবাড়ি সৈয়দপুর বছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়েছেন।

এ ক্যাম্পেইনে উপস্থিত সৈয়দপূর বছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সহকারী শিক্ষক, জিয়াউল হক, হারুনুর রশিদ, স্বেচ্ছায় রক্তদানে জামালপুরের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাজু, সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান যুগ্ম-সাধারণ সামিউল করিম তূর্জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক সজল মিয়া, বুশরা হোসাইন , নুসরাত জাহান নিশি, সাদ আবির রাসেল জিহাদ সহ এডমিন প্যানেলের সকলেই।

রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে। যার ফলে আমরা অনেকে ব্লাড গ্রুপ জানতে পেরেছি। পাশাপাশি আমাদের পরিবার কিংবা আমাদের কোনো রিলেটিভের জন্য রক্ত লাগলে আমরা রক্ত দিতে পারবো এবং এ সেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে সংগ্রহ করতে পারবো।

স্বেচ্ছায় রক্তদানে জামালপুর এর সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাজু বলেন, অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা বা জীবন বাঁচানো গেলেও অনেকেই আছেন তার রক্তের গ্রুপ কী জানেন না। বিশেষ করে মানুষ এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি অসচেতন। তাই রক্তের গ্রুপ নির্নয় ও তাদের কে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে দিনব্যাপী ফ্রী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় ।

ক্যাম্পেইনে সেবা নিতে আসা লোকেরা জানান, এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবিদার। আজ তারা এই এলাকার তরুণদের সামনে এক বড় উদাহরণ সৃষ্টি করে গেল।

এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরো সৃষ্টি হলে এলাকার মানুষ আরো বেশী উপকৃত হবে। তাদেরকে অনুসরণ করে ভবিষ্যতেও তরণরা এমন মহৎ উদ্যোগ আরও বেশি বেশি গ্রহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পত্রিকা একাত্তর/ নাহিদ