কুষ্টিয়ার কুমারখালীযতে ১ সপ্তাহে ৩ বাড়ি থেকে ৪ টি গরু চুরি হয়েছে। শুক্রবার রাতে তেবাড়িয়া গ্রামের হাবিবের বাড়ি থেকে গরু চুরি করে পালিয়ে যাবার পর চোর চক্রের সদস্য জনগণের হাতে ধরা পরলেও গরু উদ্ধার হয়নি। পরে তাদের উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
চোর চক্রের সদস্য ঝাউতলা গ্রামের বাকের এর ছেলে শাকিল ও (বাবার নাম অজ্ঞাত) সজিব হোসেন নামের দুজন আটক হয়েছে।
ভুক্তভোগী হাবিব জানান, শুক্রবার আনুমানিক রাত তিনটার দিকে গরুর ডাক শুনে ঘুম থেকে উঠে গোয়ালে গিয়ে দেখেন তার ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গাভী নেই। সেসময় তিনি চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে এলাকাবাসী উঠে এসে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শাকিলকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গরু চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। সেসময় শাকিলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সজিব নামের আরেকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু কোনভাবেই গরু উদ্ধার হয়নি। পরে কুমারখালী থানায় তাদেরকে সোপর্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান।
তিনি আরো জানান, তাদের পাশ্ববর্তী গ্রাম ফুলতলা থেকে ৫/৬ দিন আগে মঙ্গল এর ছেলে হাবিলের বাড়ি থেকে আড়াই লাখ টাকা মুল্যর ২ টি গরু চুরি হয়েছে। এবং কিছুদিন আগে আগ্রকুন্ডা গ্রামের করিমের বাড়ি থেকে ১ টি গাভী চুরি হওয়ার পর এই চোর চক্রের সদস্য শাকিলকে আটকে রাখার তিন দিনের মাথায় তারা গরু ফেরত দিয়েছে বলে জানান।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসীন হোসাইন জানান, গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তথ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ আনোয়ার হোসেন