সাভারে আশুলিয়ায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ট্রাফিক পুলিশ। তাই যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে কয়েক শতাধিক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশ।
মতবিনিময় সভায় কিভাবে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে কয়েক ঘন্টা আলোচনা করা হয়। শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় জয় রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাভার, আশুলিয়া বিভিন্ন পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা অংশ গ্রহণ করেন।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে বিভিন্ন মহামড়কে উচু উচু আইলেন হওয়ায় ও যাত্রীবাহী বাস যেখানে সেখানে পার্কিং করায় মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে এসব মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী ও সাধারণ মানুষরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অসহনীয় যানজট ও দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
মহাসড়কে একাধিক ট্রাফিক পুলিশ দিন রাত যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করলেও গাড়ি চালকদের মহাসড়কের যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানোয় যানজট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে মনে করেন যাত্রীরা। তাই মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগ। এসময় মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে সবার সহযোগীতা কামনা করেন তারা।
বাস মালিকরা জানায়, এসব মহাসড়কে নিত্যদিনের যানজটে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গার্মেন্টস শ্রমিকসহ অফিসগামী লোকজন। মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সহ দ্রুত যানজট নিরসন করতে না পারলে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে বলেও মনে করেন তারা। পরিবহন নেতারা আরো বলেন নির্দিষ্ট জায়গা আমরা পাই নাই, আমাদের বাস মালিক পক্ষ থেকে আমাদের যে টার্গেট দেয় সেটা পুরন করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। যাত্রীরা আমাদের কে মারধর করে মাঝে মাঝে। আমাদের যে সুবিধা তা মালিক পক্ষ থেকে কোন সুবিধা পাই না।
মতবিনিময় সভা ও আলোচনা সভায় এসময় ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফিসহ ট্রাফিস বিভাগের সংশ্রিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, মহাসড়কে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে যানজট সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং লোকাল পরিবহন গুলো এক্সপ্রেস ওয়েতে যাত্রী না নামাতে অনুরোধ করেন। ড্রাইভার এবং হেলপারদের লোকাল লেন ব্যাবহার ও এক্সপ্রেস ওয়েতে যাত্রী না নামিয়ে নিদ্রিষ্ট বাস স্টপিকে নামাতে বলেন। তিনি হুসিয়ারী করে বলেন কোথাও কোন অবৈধ পার্কিং থাকবে না। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালাচ্ছে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে। দোকান ও ফুটপাত যেন না বসে সেই দিকে অভিযান চলবে। সবাই সার্ভিস লেন ব্যাবহার করতে উৎসাহী হোন। নিরাপদ হোক আমাদের সড়ক গুলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টি আই সালাম, টি আই মোকলস, টি আই কাজল, টি আই মেহেদী, টি আই আতিক, টি আই রবিউল, টি আই জাহাঙ্গীর সহ বাস মালিক শ্রমিকনেতারা।
পত্রিকা একাত্তর/ সোহাগ হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :