বানিয়াচংয়ে বন্যার রাস্তা নষ্ট হয়ে ১০০ কোটির ক্ষয়ক্ষতি

উপজেলা প্রতিনিধি, বানিয়াচং

২৩ জুলাই, ২০২২, ১ year আগে

বানিয়াচংয়ে বন্যার রাস্তা নষ্ট হয়ে ১০০ কোটির ক্ষয়ক্ষতি

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বন্যার পানিতে এলজিইডি'র ১০৭ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার মতো দাঁড়িয়েছে। এদিকে বানিয়াচং উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।

একই সঙ্গে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে বানভাসি মানুষ। তবে বন্যার পানিতে তলিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নগুলোর এলাকায় গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে গেছে। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

যাতায়াতে দুর্ভোগ কমাতে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেছেন স্থানীয়রা। বন্যার কারণে এখনো গ্রাম থেকে গ্রামে চলাফেরায় প্রতিবন্ধকতা, ছোট-বড় সড়কে বড় গর্ত দেখা দেওয়া, ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় ব্যঘাত সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে হাওরের তীর গড়ে ওঠা গ্রামের জন্য ভাঙন রোধে ঢেউ প্রতিরোধক বাঁধের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ বছর ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বানিয়াচং উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত ১৫ টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয়।উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এলজিডির অন্তর্ভুক্ত ১০৭ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সরেজমিনে উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো ঘুরে দেখা যায়, বন্যার পানিতে বেশিরভাগ রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। এতে রাস্তাগুলোর মধ্যে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যান চলাচলের ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ইজিবাইক চালক মনোয়ার, আরিফুল ইসলাম বলেন,বর্তমানে বন্যার কারনে রাস্তাগুলো বেহাল দশার সৃষ্টির ফলে আমাদের ইজিবাইক চালকদের ইজিবাইক চালাতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। এতে আমাদের আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে ইজিবাইক চালাতে হয়।

যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।অপরদিকে লাইটেস চালক সুমন, রাজু, জাভেদ ও আলমগীর মিয়া জানান, এখনো রাস্তায় পানি থাকার কারণে রাস্তার অবস্থা তেমনটা বুঝা যায়না।ফলে দুর্ঘটনা হবার আশঙ্কা থাকে।

রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্হা করা হলে আমরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতাম।আমাদের একটাই দাবি রাস্তাগুলো যেনো দ্রুত সংস্কার করার মাধ্যমে জনগনের দুর্ভোগ কমানো হয়। বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন তারা তাদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন রাস্তা গুলো দেখিয়ে বলেন, বন্যা এলে এই মানুষগুলো করুণ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করে চলতে হয়।

একদিকে পানিতে তলিয়ে যায় ভিটেবাড়ি অন্যদিকে বাড়ির সম্মুখভাগ ধসে যায়। এ দুইয়ে মিলে অনেক ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হন আমাদের ইউনিয়নের মানুষগুলো।তাছাড়া আমরা মনে করি গ্রাম গুলোতে বাঁধ নির্মাণ করা হলে এ মানুষগুলোর খুবই উপকার হতো এবং এই কষ্টটা কিছুটা হলেও লাগব হতো।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকাকে জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে নতুন করে ১৫ টি রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবারের বন্যায় বানিয়াচং উপজেলার ১০৭ কিলোমিটার রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যাহার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো। এখনো উপজেলা সদরের বাহিরের অনেক সড়ক পানির নিচে রয়েছে। এ ছাড়া ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো প্রকল্পের মাধ্যমে অতি শীগ্রই বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।

পত্রিকাএকাত্তর /আকিকুর রহমান

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news