হেলিকপ্টারে করে আসলেন বর, বিয়ের আয়োজনও ছিল ধুমধামে। এলাকার উৎসুক জনতা বর ও হেলিকপ্টার দেখার জন্য ভীড়ও জমিয়েছেন। কিন্তু বারা ভাতে ছাই দিল প্রশাসন। কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে না করেই চলে যেতে হলো বরকে! উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায়।
আজ শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বিকেল তিনটার দিকে বিয়েটি বন্ধ করে দেন।
তথ্য সূত্রে জানা যায় যে কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্চারামপুর গ্রামের মো. শাহজালাল মিয়ার(৩০) সাথে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের সানিয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হয় আজকের শুক্রবারে।
কিন্তু কনে নবম শ্রেণীর ছাত্রী, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হন প্রশাসনের লোকজন। বর-কনের কাগজ পত্র যাচাই করে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন তারা।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বাল্যবিবাহ চলছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে উপস্থিত হয়ে কনের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট যাচাই বাছাইয়ের পর সেটি ভুয়া প্রমাণিত হলে দুপক্ষের মুচলেকা নিয়ে বিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান বলেন, কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দুই পক্ষের মুচলেকা নেয়া হয়েছে।
পত্রিকা একাত্তর/মোঃ খোকন