জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুই করে নাই

জেলা প্রতিনিধি, দিনাজপুর

১৯ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুই করে নাই

সরকারের নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন- গোলাম আযমের মত একজন যুদ্ধাপরাধীকে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে ফেরত এনে বসবাস করা সুযোগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদেরকে দালাল আইন বাতিল করে তাদেরকে মুক্ত করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। এর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের করুণ কাহিনী আমরা দেখেছি।

আমরা দেখেছি বাংলাদেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধা না খেয়ে মারা গেছে, আমরা দেখেছি অনেক মুক্তিযোদ্ধা তার সন্তানদের লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে পারেনি। জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুই করে নাই।

কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার গঠন করার পরই প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত করলেন। ২০০৮ সালে পুনরায় ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার বীরনিবাস নিমার্ণ করে দিচ্ছেন।

যারা সাম্প্রদায়িকতা করে তারা ইসলামের শত্রু, তারা ইসলামকে খাঁটো করে। তারা মহানবী হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশনা মানতে চায় না, তারা ভিন্ন পথে চলতে চায়। কারণ তাদের ধর্ম হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ, তাদের ধর্ম হচ্ছে জঙ্গীবাদ। তারা কখনোই কোন ধর্মকে লালন করে না। তারা জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, তাদেরকে কোন ধর্মীয় লেবাসে দেখব না। কারণ তারাই হচ্ছে সংখ্যালঘু, অন্যরা নয়।

কাজেই আমরা যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ১৯৭১ সালের জাতির পিতার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, আজকে আমাদের সময় এসেছে। আমাদের সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই ত্রিশ লক্ষ শহীদের যে রক্ত, সে রক্তকে এই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করা। সেই বিষয়টি কি হচ্ছে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সম-অধিকারের বাংলাদেশ। সকলের অধিকার নিশ্চিত হবে যে দেশে সে রকম একটি মানবিক বাংলাদেশ তৈরি করব।

১৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল ৯ থেকে ১১ টা পর্যন্ত বিরল পৌর সভার কামারপাড়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীর বীর নিবাস নিমার্ণ কাজের ভিত্তি স্থাপন এবং বিরল উপজেলা পরিষদের মুক্তমঞ্চে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে পৃথক অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকিল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান ধর্মালোচক হিসেবে বক্তব্য রাখের-স্বামী বিভাত্নানন্দজী মহারাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার, বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মেয়র আলহাজ¦ সবুজার সিদ্দিক সাগর, বিরল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রমাকান্ত রায়। এর আগে প্রধান অতিথি ধর্মাবলম্বী ভক্তদের সাথে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এছাড়াও প্রধান অতিথি স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের মৎস্য চাষীদের মাঝে এয়ারেটর বিতরণ করেন।

পত্রিকাএকাত্তর /আরমান হোসেন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news