জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিনিধি

১৫ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

ফেনীতে জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিতজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৪টায় ফেনী সদর লালপোলস্থ বাংলাদেশের সকল মানুষের সুচিকিৎসা বাস্তবায়নের একমাত্র সংগঠন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির জেলা কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি জেলা শাখার উপদেষ্টা ডা.শাহাদাৎ হোসাইন'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট গবেষক ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ।বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য এম মুকছুদুর রহমান মিয়াজী,সবুজ আন্দোলন ফেনী জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আজাদ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন আজ ১৫ আগস্ট। জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত ও বেদনার দিন। জাতীয় শোক দিবস আজ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী।

১৯৭৫ সালের এই দিন জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিনে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা আর ক্ষমতালিপ্সু কতিপয় রাজনীতিক। রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারী-শিশুরাও সেদিন রেহাই পায়নি ঘৃণ্য কাপুরুষ এ ঘাতক চক্রের হাত থেকে।

সেদিন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আরও প্রাণ হারান তাঁর সহধর্মিণী, তিন ছেলেসহ মোট শহীদ হয়েছিল ২৬ জন।বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে দিনটি।

আর বাংলাদেশে অনেক নেতা জন্ম নিয়েছেন কিন্তু একমাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে আমাদের জানা উচিত পরিপূর্ণভাবে। দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি, মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কতোটা গভীর, কতোটা আন্তরিক ছিল তা আমাদের জানা উচিত।

’আর ‘যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতোদিন পৃথিবীর ইতিহাস থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ততোদিন বেঁচে থাকবেন।আর বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাবনা ছিল—একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে চাই স্বাস্থ্যবান জাতি। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য খাতকে শুধু গুরুত্ব দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, ব্যাপক সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

চিকিৎক এবং চিকিৎসা খাতে বঙ্গবন্ধুর অবদানসংবিধানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিসেবা পাওয়াকে মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করেন।দেশের মানুষের জন্য কতটা মমত্ব থাকলে এতটা নিঃস্বার্থ সাহস দেখাতে পারেন একজন নেতা। একজন জনগণের প্রিয় মানুষ। এমন একজন অভিভাবকই তো জাতির পিতা হবে।

এমদাদ হোসাইন আরাফাত'র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন কাজি আব্দুরব,সবুজ আন্দোলন ফেনী জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক আশফাল আহমেদ রাফি,রোগী কল্যান সোসাইটি সদর সদস্য সচিব ডা.রফিকুল ইসলাম, লালপোল সোলতানিয়া মাদরাসার শিক্ষক ইসমাঈলমাওলানা আবদুল আহাদ,নুরুল ইসলাম সহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

পত্রিকাএকাত্তর / এস এস আর

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news