উপজেলার সুরখালী বিলে ইজারা দেওয়া চরার খালের ইজারাদারের বিরুদ্ধে কৃষকদের কাছে পানি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু ও ওয়ার্ড মেম্বার সুজিত রায় গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা জানান, মাছ চাষের জন্য উক্ত খাল জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি ইজারা গ্রহন করে। খালে প্রচুর পানি রয়েছে। অথচ পানি নিতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। সিন্ডিকেট একটি চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে তরমুজ ও চলতি মৌসুমের ধান চাষিরা।
বর্তমান খরা মৌসুমে তিব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বিপদে রয়েছে খালের দুপাশের তরমুজ ও বোরো চাষিরা। খাল থেকে পানি নিতে গেলে উক্ত খাল ইজারাদার চক্র বাধা নিচ্ছে। খাল থেকে পানি নিতে হলে তাদেরকে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। টাকা ছাড়া পানি দেওয়া হবেনা বলে কৃষকদের জানিয়েছেন উক্ত ইজাদারচক্র। খাল থেকে পানি নিতে গেলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। কৃষক অজিত, সুমন, রাসেলস। আরো অনেকে বলেন, বাধ্য হয়ে সরকারি খালের পানি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে আমাদের। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও তিব্র ক্ষোভের সঞ্চয় হয়েছে। ইতোপুর্বে উক্ত খাল ইজারাদারের বিরুদ্ধে পানি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিলো। জনগন উক্ত খালের ইজারা বাতিল করে কৃষকদের স্বার্থে খাল উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ইউএনও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসি।
অন্যদিকে সুরখালী গেট দিয়ে রাতের আধারে ঘের ব্যবসায়ীরা স্লুইস গেটের কপাট উচু করে রাতে লবণ পানি তোলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুরখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এস এমফরিদ রানা বলেন,কৃষকরা পানি কিনে চাষাবাদ করবে এটা খুবই দূঃখজনক। তবে ইজারা নীতিমালায় কি আছে পানি ব্যবহার সংক্রান্ত সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই আগে কৃষকদের সুবিধা সবাইকে দেখতে হবে। কোন ভাবেই তাদের পানি নিতে বাধা দেওয়া যাবেনা। যদি কেউ বাধাদেয়, তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পত্রিকা একাত্তর/ আক্তারুল ইসলাম