আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানীর হাট কাঁপাতে জামালপুরে কোরবানির হাটে আসছে জেলার ইসলামপুর উপজেলার কাচারী পাড়ার ষাঁড় কালো মানিক। কুরবানীর জন্য এবার ক্রেতাদের নজর কাড়বে কালো মানিক। ইতিমধ্যেই এই গরুটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে ফ্রিজিয়ান ক্রসের কালো ষাঁড়টিকে লালন-পালন করে আসছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পৌর শহরের কাচারীপাড়ার বাসিন্দা মামনুর রশিদ মামুন।

বর্তমানে ষাঁড়টির ওজন ৬০০ কেজির উপরে। প্রতিদিন ষাঁড়টিকে ১২ কেজি যেসব খাবার খাওয়ানো হয় তা ভুট্টা, ধান, গমের ভুসি,ডাবলি বুট, ছোলাবুট, ধানের কুড়া, মশুরের ভুসি, খেসারির ভুসি, ছোলা বুটের ভুসি, আসন্ন ঈদে কালা মানিক এর দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ লক্ষ টাকা। তবে একটু কম বেশী হলেও তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।

ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম নাম রাখা হয়েছে ‘কালো মানিক’। কালো মানিকের নাম আশেপাশের এলাকাসহ সবার মুখে মুখে। বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতারা সহ বহু মানুষ প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে মামুনের বাড়িতে। দেখতে আসা অনেকেই গরুটিকে হাতির সঙ্গে তুলনা করছেন।

কালো মানিককে দেখতে আসা রাকিব হাসান নয়ন জানান, কালো রঙের হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। তার আকৃতি এবং রঙ সবাইকে আকর্ষণ করে। আমার মতো অনেকেই এ ষাঁড়টি দেখতে আসে। কালো মানিক এবারের ঈদে কার ভাগ্যে জোটে তা দেখার অপেক্ষায়।

কালো মানিকের মালিক মামনুর রশিদ জানান, অনেক শখ করে প্রায় তিন বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি তবে চাকরী সুত্রে বাড়ির বাইরে থাকায় বেশি সময় ধরে ষাঁড়টি লালন পালন করেছেন আমার মা- বাবা ও স্ত্রী।

খাবারের জন্য প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খরচ হয়। কৃত্রিম কোনোকিছু খাওয়ানো হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুসি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। শখ করে গরুটিকে পালন করেছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন নেই। ঈদ বাজারে আশা করছি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবো।

পশু চিকিৎসক ডাঃ হারুন জানান, আমি ‘কালো মানিককে’ শুরু থেকেই চিকিৎসা দিয়ে আসছি। গরুটি প্রাকৃতিক খাবার খড়, ঘাস, খৈল, ভুসি, ইত্যাদি খাইয়ে বড় করা হয়েছে। ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করার ফলে মাংস অনেক সুস্বাধু হবে। এটি ইসলামপুর উপজেলা সহ জেলার সবচেয়ে বড় গরুর মধ্যে অন্যতম।

পত্রিকাএকাত্তর /নাহিদ