বর্ষায় নয়নাভিরাম চলনবিল! আনাগোনা বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের

উপজেলা প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর

২৮ জুন, ২০২২, ১ year আগে

বর্ষায় নয়নাভিরাম চলনবিল! আনাগোনা বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের

"এ কি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী-জননী। ফুলে ও ফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনি।" জাতীয় কবি কাজী নজরুলের এই বিখ্যাত গানই মনে করিয়ে করে দেয় গ্রাম-বাংলার এই চিরায়ত অপরূপের কথা।

এশিয়ার সর্ব বৃহৎ বিল চলনবিল। পানি চলমান থাকায় এই বিলের নামকরণ হয়েছে চলনবিল। এখন বর্ষাকাল হওয়ায় বিলটি ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা রূপ।বিস্তৃত বিশাল জলরাশি দেখে মনে হবে সাগর, কিন্তু সাগরও নয়,নদীয় নয়! বরং বিল।

চলনবিলের মাঝ দিয়ে বয়েচলা রাস্তার দু’পাশে বিশাল জলরাশি, যেদিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষ নৌকা,বাস,মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ছুটে আসেন চলনবিলকে এক নজর দেখতে।মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির সাজে ভ্রমণ পিপাসুরা নিজেদের রাঙিয়ে তুলেন।

প্রয়োজনের তাগিদেই ভাসমান মানুষ গুলো ডিঙি নৌকায় ছুটে চলেছে দিগ্বিদিক। দ্বীপের মত গ্রামগুলো যেন একেকটা ভাসমান বাজার। বর্ষায় এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া, গ্রাম থেকে শহর, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজারসহ যোগাযোগের সব জায়গায় ভাসমান মানুষগুলোর নিত্য সাথীই যেন ঐতিহ্যবাহী ডিঙি নৌকা। বর্ষা এলেই চারদিক অথৈই জলে ডুবে যায় মাঠ-ঘাট রাস্তাসহ বিস্তৃর্ণ এলাকা।

বর্ষায় চলনবিলের রুপ ফিরে পাওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা। বিশেষ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিলশা,চলনবিলের বুক চিরে নির্মিত মা জননী সেতু, স্বর্ণদ্বীপ ও গ্রিনল্যান্ড নামের দুটি বিনোদনকেন্দ্রে- বনপাড়া থেকে সিরাজগঞ্জ হাঁটিকুমরুল মহাসড়কে উপর নির্মিত ৯ ও ১০ নাম্বার ব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিনোদনের জন্য ছুটে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার ভ্রমণপিপাসু মানুষগুলো ঈদের সময় ঈদ আনন্দ একটু বাড়িয়ে নিতে চলনবিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে উপচেপড়া ভিড় করেন। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাবে গড়ে উঠেছে খাদ্য সামগ্রীর দোকান।

ভ্রমণপিপাসু শাহারিয়ার সোহান বলেন,বর্ষায় চলনবিল ফিরে পায় তার আসল রুপ, তেমনি আবার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই কৃষকদের বপনকৃত সরিষার ফুলে রাঙিয়ে তুলে চলনবিলের দৃশ্য। বর্ষায় মনে হয় যেন বিল নয় সাগর পানি নেমে যাওয়ার কিছুদিন পর দেখলে মনে হয় যেন হলুদের এক স্বর্গরাজ্য যা প্রকৃতি প্রেমিকদের করে আকৃষ্ট।

চলনবিলের রুপ একেক সময় একেক রকম যা আমাদের মত ভ্রমণ পিপাসুদের মনকে করে তুলে প্রকৃতি প্রেমি। স্বর্ণদ্বীপ ও গ্রিনল্যান্ড বিনোদনকেন্দ্রের মালিকেরা বলেন,বর্তমানে আশানুরূপ দর্শনার্থী না হলেও সামনে কয়েক দিন পর কোরবানির ঈদ। ঈদ আনন্দে ও পরবর্তী সময় থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করবেন বলে আশা করছি।

পত্রিকাএকাত্তর /সোহাগ আরেফিন

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news