ইন্সপায়ারিং উইমেন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলআফরোজ খানমের সংগঠন ‘স্টেপস এ্যাহেড’। স্টেপস এহেড ২০২১ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত একটি সংগঠন।

লিঙ্গ সমতা এবং সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য ‘স্টেপস এ্যাহেড’ এর প্রতিষ্ঠাতা দিলআফরোজ তানিয়াকে ইউএনভি বাংলাদেশ, ভিএসও বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ এবং অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড (আইডব্লিউভিএ) ২০২২ দেওয়া হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে।এ বছর ১২২ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ১৫ জন নারী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশের যেসব নারী স্বেচ্ছাসেবক লিঙ্গ সমতা ও কমিউনিটির উন্নয়নে অসামান্য উদ্যোগ রাখছেন, তাদের জন্য এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষত যেসব টেকসই উদ্যোগ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে, সেসব উদ্যোগের নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারী স্বেচ্ছাসেবকদেরকে এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়।

স্টেপস এ্যাহেড এর প্রতিষ্ঠাতা দিলাফরোজ খানম বলেন, এই পুরস্কার আমাদের সংগঠনের পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য সম্মানের। এটি প্রান্তিক মানুষের জন্য বিশেষ করে নারী ও কিশোরী মেয়েদের জন্য আরো কিছু করতে আমাদের উৎসাহিত করবে।

আমি এই বিশেষ সম্মানের জন্য স্টেপস এ্যাহেডকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি পুরষ্কারটি পেয়ে মুগ্ধ, কারণ এটি আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।

২০১৮ সালে উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় বসবাসকারী নারীদের মাসিককালিন স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিনামূল্যে হাইজিন কিট বিতরণের উদ্দেশ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলআফরোজ খানম এর নেতৃত্বে পাঁচজন সহপ্রতিষ্ঠাতা জনাব মোহাম্মদ মোফাজ্জল সারওয়ার, মীর নাজিমুজ্জামান সানী, মো. সাদেকউল্লাহ, শাহানা আফরিন দিনা এবং গোলাম রাব্বানীর হাত ধরে স্টেপস তার যাত্রা শুরু করে।

পরবর্তীতে স্টেপসের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পায়। ২০২০ সালে সংগঠনটি সমাজসেবা অধিদফতরের নিবন্ধিত পায়। বর্তমানে সংগঠনটি মাসিককালিন স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শীতলপাটিতে নতুনত্ব আনয়ন, বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, বাঘ বিধবাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করছে।

পত্রিকাএকাত্তর /আব্দুল্লাহ মামুন