ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এমএনবি ইটভাটায় মোজাম্মেল হক নামে এক যুবককে পুড়িয়ে হত্যা ঘটনায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি আদলতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক রয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- রানীশংকৈল উপজেলার বলাঞ্চা গ্রামের কমিরউদ্দীনের ছেলে নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী ও বদির উদ্দীনের ছেলে সেকেন্দার আলী, চন্দনচোহট গ্রামের খতিবউদ্দীনের ছেলে আব্দুল জলিল, বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কফিলউদ্দীন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন আবদুল জলিল (২৮) রাণীশংকৈল উপজেলার চন্দনচহট গ্রামের মতিবউদ্দিনের ছেলে, কফিল উদ্দিন (৪২) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার থানোর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে, ইউনুস আলী (২৭) রাণীশংকৈল বলঞ্চাগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
পলাতক দুজন হলেন সেকেন্দার আলী রাণীশংকৈল বলঞ্চা গ্রামের বদিরউদ্দিনের ছেলে ও নজরুল ইসলাম একই এলাকার কমির উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খলিলুর রহমান ও তোফাজ্জল হোসেন ও মজিবর রহমানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১০ সালের ১৪ মার্চ ভুট্টাক্ষেতে একটি মস্তকবিহীন মরদেহ পাওয়া গেলে বালিয়াডাঙ্গি থানার এসআই মো. আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার করেন। যার তদন্তভার একই থানার আরেক এসআই মো. আতিকুল ইসলামের ওপর অর্পিত হয়।
তিনি সন্দেহভাজন একজনকে আটক করলে তার দেওয়া তথ্যে ইটভাটা থেকে একটি মস্তকের কঙ্কাল উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার এসআই ফরহাদ আলীর ওপর অর্পিত হলে তিনি ৮ জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ঠাকুরগাঁও জেলা সিআইডির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক মামলাটির অধিকতর তদন্ত করে ৮ জনকে প্রাথমিকভাবে দোষী করে পুনরায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আবদুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পত্রিকা একাত্তর /আনোয়ার হোসেন আকাশ