২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাঃ বেরোবি ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

বেরোবি প্রতিনিধি

২১ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাঃ বেরোবি ছাত্রলীগের আলোচনা সভা

নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শাখা ছাত্রলীগ কতৃক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রবিবার (২১ আস্ট) বিকেল ছয় টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো সাফিউর রহমান সাফি, বিশেষ অতিথি বহিরাঙ্গন দফতর বিষয়ক পরিচালক মো সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর বিষয়ক পরিচালক মো নুরুজ্জামান খান।সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামী সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান শামীম।

প্রধান অতিথি সাফিয়ার রহমান সাফি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধ চক্র এখনো নানানভাবে সোচ্চার আছে। এই অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি তাঁরা আহ্বান জানান।

সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করা এবং এর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া। পরিশেষে দেশে স্বৈশাসন ও জঙ্গীবাদকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেই নারকীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে সেই অপচেষ্টা রুখে দেয়।

তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকান্ড সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু সে সময়ের সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকেই এই বিভীষিকাময় কর্মকাণ্ডের বিচারে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে মামলার রায় কার্যকর করার জন্য বক্তাগণ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়াও বক্তব্য দেন সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী, নুরুজ্জামান খান,লুবনা হক মিমি ও অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।উল্লেখ্য ২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।

পত্রিকাএকাত্তর /ফারহান সাদিক

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news