রোজিনা একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি ঢাকায় মঞ্চ নাটক করতেন। তখন তিনি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করে চলচ্চিত্র জগতে আসেন। রোজিনা মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনের কাজ করার পর বড়পর্দায় ১৯৭৬ সালে ‘জানোয়ার’ চলচ্চিত্রে পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয়ের সুযোগ পান।
পরে তিনি এফ. কবীর পরিচালিত ‘রাজমহল’ সিনেমার মাধ্যমে একক নায়িকা হিসেবে কাজের সুযোগ পান। এই ছবিটি সফল হয় এবং তিনি হাতে বেশ কিছু ছবি পান। রোজিনার বেশির ভাগ ছবিই পোষাকী। সুঅভিনয় ও গ্ল্যামার দিয়ে তিনি প্রথম শ্রেণীর নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তুমি আমার কত চেনা, সে কি জানোনা…. সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে গাওয়া দোলনা সিনেমার এ গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন চিত্রনায়িকা রোজিনা। গানটি রোজিনার অভিনয়ে গানের সুরের মুগ্ধতা যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। সত্তর দশক থেকে নব্বই দশক এরকম অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় ও গানে ঠোঁট মিলিয়ে এখনও দর্শকহৃদয়ে আসন গেড়ে আছেন রোজিনা।
বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের একসময়ের দাপুটে অভিনেত্রী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনা। ঢালিউডে চার দশকে বহুসংখ্যক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসসহ বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন। দেশের বাইরেও প্রশংসিত হয়েছেন গ্লামার দুনিয়ার এই নায়িকা।
১৯৮০ সালে রোজিনা ‘কসাই’ ছবির জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কার পান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর হিসেবে ‘জীবন ধারা’ ছবির জন্য। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনি বাচসাস পুরষ্কারও লাভ করেন।
জানোয়ার, মাটির মানুষ, অভিযান, শীর্ষনাগ, চম্পা চামেলী, রাজনন্দিনী, রাজকন্যা, শাহী দরবার, আলীবাবা সিন্দবাদ, সুলতানা ডাকু, যুবরাজ, কসাই, জীবনধারা, অন্যায় অবিচার, রঙিন রূপবান, দোলনা, সাত ভাই চম্পাসহ বহু ব্যবসাসফল ছবিতে অভিনয় করেছেন রোজিনা
আজ এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর জন্মদিন। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে পত্রিকা একাত্তর পরিবারের পক্ষ থেকে রইল জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
পত্রিকা একাত্তর / মোঃ মাসুদ পারভেজ রানা