ভোলার বাংলাবাজারে অবৈধভাবে কৃষি অফিসের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

ভোলা জেলা প্রতিনিধি

২৯ মার্চ, ২০২২, ১ year আগে

ভোলার বাংলাবাজারে অবৈধভাবে কৃষি অফিসের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে কৃষি অফিসের সরকারী ৩৩ শতাংশ জমি থেকে ৪শতাংশ জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর জয়নগর মৌজার সিএস খতিয়ান নং ১৫০৫ আর এস ১০৫৫, ২ ও ৩ নং দাগের বাংলাবাজার প্রধান সড়কে পাশের ৪ শতাংশ কৃষি অফিসের সরকারী জমি জোরপূর্বক দখল করে টিনের বাউন্ডারি দিয়ে রাতের আধারে ২৩ টি ফাঁকা পিলার তৈরি করে ভবন নির্মাণের কাজ করে আসছে। ওই জমির পাশে কিছু ব্যক্তি মালিকানা দোকান ঘর উচ্ছেদ করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মাকসুদ। সরকারদলীয় ঢাকার এক নেতার নিকট আত্মীয় পরিচয় নাম ভাঙ্গিয়ে কৃষি অফিসের সরকারি জমি ও ব্যক্তি মালিকানা দোকান ঘর ভেঙে দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে মাকসুদ।

স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা আরো জানান, জোরপূর্বক উচ্ছেদকৃত দোকানের মালিক মালিক মোঃ শামিম, কবির, কাজল মেম্বার ও রবিউল হাজী। তারা কৃষি অফিসের সরকারী জমি বিধায় দখল ছেড়ে দেয়।

ঢাকায় থাকা সরকারদলীয় এক নেতার ভাতিজা পরিচয় মাকছুদ কৃষি অফিসের সরকারী ৪ শতাংশ জমি দখল করে বিল্ডিং নির্মানের জন্য রাতের আধারে পাকা পিলার তৈরি করে করেছে।

বাংলা বাজার কৃষি অফিস মাঠ কর্মকর্তা বাবুল জানান, মাকছুদ যেই জমি দখল করেছে সেই জমি পুরোটাই সরকারী এবং তার প্রমানাধী কাগজ পত্র রয়েছে।

এর আগে মাকছুদ এই জমি দাবী করে আদালতে মামলা করেছে। তার করা মামলায় মাকছুদ হেরে যাওয়ার আশংকায় সে নিজেই মামলা সেচ্ছায় তুলে নেয়।

এখন সে কিভাবে সরকারী জমি দখল করে বিল্ডিং তৈরি করে তা আমি জানিনা। জমি দখল করার বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও জেলা কৃষি কর্মকর্তার বরাবরে ৩ বার লিখিত ভাবে জানিয়েছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আমার কিছু করার নেই।

দৌলতখান উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা ছিদ্দিকা জানান,এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা তবে নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষি অফিসের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সে হয়তো জানতে পারে,আর আমিও বিষয়টি দেখবো।

এবিষয়ে মাকছুদের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান,ওই জমির ক্রয়সুত্রে মালিক আমি,দৌলতখান নির্বাহী কর্মকর্তা আমার কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে আমাকে বিল্ডিং করার অনুমতি দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য জানার জন্য তার ০১৭০৩৪৬৪৩২৬ অফিস মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি মিটিংয়ে আছেন, পরে ফোন করেতে বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।

সরকারি জমি দখল ও দোকানপাট উচ্ছেদের বিষয়ে স্থানীয়রা উত্তর জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বসির সর্দার ও মিলন মিয়া কে জানালে তারা শান্তি-শৃঙ্খলা লক্ষে ঘটনাস্থলে এসে মাকসুদকে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করতে বলেন।

কাজ বন্ধ করতে বলায় অভিযুক্ত মাকসুদ মিলন মিয়ার সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন বলে জানান স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর দাবী, সরকারী জমি মাকছুদ দখল করে বিল্ডিং তৈরি করাকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময়ে বড় ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাজার ব্যবসায়ীরা।

পত্রিকা একাত্তর / নিয়াজ মাহমুদ জয়

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news