অসহায় ১১প‌রিবার‌কে পাকা ঘর দি‌চ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউ‌ন্ডেশন

মোঃ সাইফুল ইসলাম

মোঃ সাইফুল ইসলাম

২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ২ years আগে

অসহায় ১১প‌রিবার‌কে পাকা ঘর দি‌চ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউ‌ন্ডেশন

ভিটেমাটি নেই এমন ১১টি অসহায় পরিবারকে ঠাকুরগাঁও শহরের অদূরে জমি কিনে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে বসতবাড়ি। প্রত্যেক পরিবারের জন্য দেয়া হচ্ছে দুই বেডরুম ও এক রান্নাঘর বিশিষ্ট একটি ঘর, একটি টিউবওয়েল ও একটি ওয়াশরুম।

জমি কেনার সময় বেনিফিশিয়ারীদের নামেই রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয়েছে।

ইটের খোয়া, সিমেন্ট আর বালুর সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হচ্ছে মসলা। তারপর দুটি ইটের মাঝে মসলার গাঁথুনি দিয়ে গড়ে উঠছে দেয়াল। এভাবে একসঙ্গে তৈরি হচ্ছে ২৪টি বেডরুম, ১১টি বাথরুম ও ১১টি রান্নাঘর। আর কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হবে কাজ। তারপর হস্তান্তর করা হবে ১১টি পরিবারের মাঝে। নিজের জমি ও ঘর নেই যেসব পরিবারের, শুধু তারাই পাবেন এই ঘরগুলো।

অরাজনৈতিক দাওয়াহ ও মানবিক প্রতিষ্ঠান আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার মোহাম্মদ ইউনিয়নের বিমানবন্দর এলাকার পস্তমপুরে তৈরি করা হচ্ছে ঘরগুলো।

প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে ২টি বেডরুম, ১টি বাথরুম ও ১টি রান্নাঘর। ঘর স্থাপনের জমিটিও কেনা হয়েছে প্রতিটি পরিবারের জন্য। প্রায় ১ দশমিক ৫ শতক করে জমি ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে তাদের।

ঘর পেতে যাওয়া আবদুল্লাহ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। যেখানে থাকি, সেটা রেলের জমি। এনজিও কর্মী ও সমাজককর্মী জুয়েল ভাইকে আমরা বিষয়টি বলেছি। তার সহযোগিতায় আমাদের জমিসহ ঘর দিচ্ছে সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। যারা আমাদের এই জমিসহ ঘর দিচ্ছে, আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।

আমিনা খাতুন বলেন, আমাদের থাকার কোনো জায়গা ছিল না। আমাদের এ রকম টাকাপয়সা নাই যে আমরা জমি কিনে ঘরবাড়ি করব। আমরা রেলের জায়গায় থাকি। আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন আমাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা এখন ভালোভাবে বসবাস করতে পারব, ইবাদাত বন্দেগি করতে পারব। যারা করে দিয়েছেন, আল্লাহ তাদের ভালো করুন।

ঘর পেতে যাওয়া খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে এখন অব্দি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। জমি কিনে ঘর করার কোনো সামর্থ্য নেই আমার। বিষয়টি জুয়েল ভাইকে অবগত করি। তিনি আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে বিষয়টি অবগত করলে তারা আমাদের জন্য বিমানবন্দর এলাকায় জমিসহ ঘর করে দিচ্ছে।

আমাদের ১১টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারের জন্য কোর্টে ১ দশমিক ৫ শতক করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই জমিসহ ঘর পেয়ে অনেক খুশি ও আনন্দিত। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত আছেন, তাদের আল্লাহ ভালো করুন।

কর্মরত রাজমিস্ত্রি সোলেমান বলেন, আমরা যে ঘরগুলো তৈরি করছি, এগুলোয় অনেক মানসম্মত ইট, সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অনেক দিন টেকসই হবে বলে আশা করছি।

আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত প্রতিনিধি আক্তার আহমেদ জুয়েল জানান, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১১টি পরিবারের জন্য জমিসহ ঘর তৈরি করছি। যাদের কোনো জমি নেই, বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন, মূলত তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কয়েকজন মিলে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১১টি পরিবারের জন্য জমিসহ ঘর তৈরি করে দিচ্ছে।

যারা ঘরগুলো পাচ্ছে, তারা অনেক অসহায় ও নিঃস্ব মানুষ। এখানে প্রতিটি পরিবারের জন্য ২টি বেডরুম, ১টি বাথরুম ও ১টি রান্নাঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। যার পুরো খরচ বহন করছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

আনোয়ার হোসেন আকাশঃ পত্রিকা একাত্তর।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news