রেলের টিকেট কালোবাজারে বিক্রি!

মোঃ সাইফুল ইসলাম

মোঃ সাইফুল ইসলাম

২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ২ years আগে

রেলের টিকেট কালোবাজারে বিক্রি!
ফাইল ছবি | পত্রিকা একাত্তর

নীলফামারীর ডোমারে রেলের টিকেট বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে টিকেট পাওয়া না গেলেও, প্লাটফর্ম ও আশেপাশের এলাকায় পাওয়া যায় সোনার হরিণ টিকেট। যা ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন কালোবাজারিরা।

রেলের টিকেট নিয়ে কালোবাজারিদের সিন্ডিকেটে যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। ঢাকা গামী 'নীলসাগর এক্সপ্রেস' ট্রেনে নন এসি বা শোভন চেয়ার টিকেটের মূল্য ডোমার থেকে ৪৯৫ টাকা। যা টিকেট কাউন্টারের বাইরে ৭০০ এর ঊর্ধ্বে বিক্রি হয়।

প্লাটফর্মে অপেক্ষাকৃত ঢাকাগামী যাত্রী ইমন হাসান জানান, গত ৪ দিন আগে টিকেট কাউন্টারে এসে খোঁজ নিয়েও টিকেট পান নি তিনি। অনলাইনেও কোনো টিকেট নেই। অথচ টিকেট কাউন্টার থেকে বেরিয়ে প্লাটফর্মে অপেক্ষা করলেই কালোবাজারিরা টিকেট দিতে পারেন। কিন্তু দাম খুব চড়া! যা যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি। যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে, দালালদের কাছ থেকে টিকেট উচ্চমূল্যে কিনছেন।

খুলনাগামী 'সীমান্ত এক্সপ্রেস' ট্রেনের অপর এক যাত্রী রেনু কবির জানান, অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট না পেয়ে স্টেশনে এসেছি কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে যাত্রা করবো। কিন্তু এসে দেখি, কোনো টিকেট স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে নেই। বুকিং সহকারী সেই সাথে খারাপ আচরণও করেছিল। এমন অবস্থা হলে, সরকার যেন যাত্রীদের জন্য টিকেট ব্যতীত রেল সার্ভিস করে। তাহলে ট্রেনে উঠে ভাড়া দেওয়া যাবে। এমন ভোগান্তি আমাদের জন্য নিশ্চয়ই শুভকর নয়।

এ বিষয়ে ডোমার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোসাদ্দেক আলী বলেন, কালোবাজারি কখনো আমাদের চোখে পড়েনি, তাই কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে ইতিপূর্বে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। ট্রেনে বরাদ্দকৃত আসন বৃদ্ধি পেলে আমরা আশাবাদী কালোবাজারি কমে যাবে। আর কালোবাজারি যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে ৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকাগামী 'নীলসাগর এক্সপ্রেস', খুলনাগামী 'রূপসা এক্সপ্রেস', 'সীমান্ত এক্সপ্রেস', রাজশাহী গামী 'বরেন্দ্র এক্সপ্রেস' ও 'তিতুমীর এক্সপ্রেস' ট্রেনগুলো চলাচল করে।

আজমির রহমান রিশাদ: পত্রিকা একাত্তর।

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news