গতকাল শুক্রবার আমতলী পৌরসভার মেয়র মো.মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে বাসায় পরীক্ষার খাতা এনে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষা পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে আমতলী সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
এ খবর জানাজানি হলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম খানের নেতৃত্বে একটি দল আমতলী সরকারি ডিগ্রী কলেজে কর্তব্যরত শিক্ষকদের কাছে জানতে চান মতিয়ার রহমান পিতাঃ মোহন খলিফার নামে পরীক্ষার্থী আছেন কিনা প্রথমে পরীক্ষার হলের কর্তব্যরত শিক্ষকরা মতিয়ার রহমান নামে কোনো পরীক্ষার্থী নেই রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে জানান।
পরে আমতলী সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হোসেন আহমদ এর কাছে গেলে তিনিও তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় সাংবাদিক ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে প্রমান পত্র যেমন পরিক্ষার্থীদের সিট, হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে দেখাতে বাধ্য হন। পরে দেখা যায় মতিয়ার রহমান পিতা মোহন খলিফা মাতা আমেনা বেগম রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ১৯-০-১১-৫০৫-০৩৯ পরীক্ষার্থীদের তালিকায় রয়েছেন। তবে সাংবাদিকদের সামনেই তাকে অনুপস্থিত দেখান কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মেয়র মতিয়ার রহমানকে মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয় আমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হোসেন আহমদ বলেন, প্রথমে যখন তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন তখন আমার জানা ছিল না যে মেয়র মহোদয় আমার এখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করছেন। পরে কাগজপত্র যাচাই করে তাদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে তিনি বাসায় খাতা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন এ রকম কোন প্রমান পাইনি।
উপ- আঞ্চলিক পরিচালক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বরগুনা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাইক বলেন, এটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ আমি খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টা আমি অবগত নই খোঁজ নিয়ে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমতলীতে সাম্প্রতিক সময়ে জাল সার্টিফিকেট টক অব দি টাউন হলেও মেয়রের বাসায় পরীক্ষা দেয়ার ঘটনায় শুধু হতবাকই হয়নি শাস্তি দাবী করেছেন।