বরগুনাগামী লঞ্চে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে, ঝালকাঠিতে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা প্রসাশক।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ অভিযান-১০ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে কয়েকশ যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান-১০। রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া গ্রামের কাছে এলে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে লঞ্চটি দিয়াকুল এলাকায় নদী তীরে নোঙর করে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রাত ৩টা ২৮মিনিটে তাদের কাছে অগ্নিকাণ্ডের খবর আসে। তাদের কর্মীরা ৩টা ৫০ মিনিটে সেখানে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রলার নিয়ে লঞ্চের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তারা। এ ঘটনায় শতাধিক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঝালকাঠি, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।