নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার দেওখান গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জুবায়েদ হোসেন খুন করলো তার স্ত্রী প্রিয়া আক্তারকে বলে অভিযোগ প্রিয়া আক্তারের স্বজনদের। একজন নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যা করারই নামান্তর।
মাত্র ৭ মাস হলো হাজারো স্বপ্ন নিয়ে পা রাখলো স্বামীর ঘরে। হাতের মেহেদী রঙটাও এখনো হয়তো মূচে যায় নাই। পেটে এসেছে ৪মাসের এক সন্তান। কিন্তু অনাগত এই সন্তান জানতেই পারলো না তার নিজের জন্মদাতা নরপিশাচ, হায়েনা মানুষরুপী অমানষটাই হবে তার পৃথিবীর আলো না দেখা ও তার গর্ভধারিণীর মৃত্যুর কারণ।
গতকাল সন্ধায় পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং গৃহবধূ প্রিয়া আক্তারকে মৃত উদ্ধার করে। মৃত গৃহবধূর নাম প্রিয়া আক্তার(২২),পিতা নজরুল ইসলাম, । স্বামীঃ জুবায়েদ হোসেন(২৫) পিতাঃ আঃজব্বার,মাতাঃ রোকেয়া আক্তার,গ্রামঃ দেওখান,মোহনগঞ্জ,নেত্রকোণা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পঠিয়েছে।
মৃত গৃহবধূ প্রিয়া আক্তারের বাবা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন যৌতুকের টাকা ও নতুন মোটরসাইকেল দেওয়ার জন্য মেয়েকে প্রচন্ড চাপ দিত এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। পেটে ৪ মাসের সন্তান থাকাতে সে এ সবকিছুই সহ্য করে নিতো।কিন্তু গত ১-৯-২২ ইং তারিখে স্বামী মোঃ জুবায়েদ হোসেন স্ত্রী প্রিয়া আক্তারকে বলে যদি যৌতুকের টাকা ও নতুন মোটরসাইকেল না দেয় তাহলে তোকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা।বাঁচতে হলে তোর বাবা মানে বল আমি যা বলেছি তা দিয়ে দিতে।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন এ ঘটনাটি তধন্তাধীন আছে।মৃতের স্বজনরা মামলা দায়ের করেছে এবং পুলিশ স্বামী জুবায়েদ হোসেন( ২৫)কে গ্রেফতার করেছে।
পত্রিকা একাত্তর /খোকন