হাতুড়িপেটার পরে মারা যাওয়ার ঘটনায় ২০টি বাড়ি ভাংচুর

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি

১৪ আগস্ট, ২০২২, ১ year আগে

হাতুড়িপেটার পরে মারা যাওয়ার ঘটনায় ২০টি বাড়ি ভাংচুর

নড়াইলে প্রতিবন্ধী জুয়েল ভূঁইয়া (১৮) মাথায় হাতুড়িপেটার পর খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার(১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা গেছেন । সে সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার পূত্র।

নিহতের ঘটনা শোনার বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রতিপক্ষের প্রায় ২০টি বাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

শারীরিক প্রতিবন্ধী জুয়েল বাড়ির পাশর্^বর্তী মাদ্রাসা বাজারে একটি দোকানের কর্মচারি হিসেবে কাজ করতো। সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভ্যানে দোকানে আসার পথে বেদভিটা নামক স্থানে পৌছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ৫-৬জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।

ঘটনার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। শনিবার সন্ধ্যায় তার মুত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া বাদি হয়ে ৫জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। এদিকে জুয়েলের মৃত্যুর খবর শোনার পর নিহতের পক্ষের লোকজন আসামিপক্ষের আতিয়ার সিকদার, ইয়াসিন সিকদার, ফিরোজ সিকদার, হাফজ সিকদার প্রায় ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে।

এ খবর শোনার পর সদর থানা পুলিশ ঘঁনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। এ সময় এ সময় পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ব্যাপারে বাঁশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ফকির বলেন, ভাংচুরের ঘটনা শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে যাই।

নিহতের ঘটনা শোনার পরি প্রতিপক্ষরা প্রায় ২০টি বাড়ি ভাংচুর করে। তবে কোনো বাড়ি লুটপাট হয়নি। পরিস্থিতি এখন শান্ত। তিনি আরো বলেন আমি এবং এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি মোঃ রেজাউল আলম ঘটনার প্রথমে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম সেটা মানলে এ ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতোনা।

সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ৬রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির ঘটানো ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় ১২জনকে গেস্খফতার করেছে।

পরিস্থিতি এখন শান্ত। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া জুয়েলকে জখমের মামলা এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। জুয়েলকে জখমের মামলায় হাজতে রয়েছে একজন, বাকি ৪জন জামিনে মুক্ত রয়েছে।

পত্রিকাএকাত্তর /হাফিজুল নিলু

ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন

youtube
Patrika71.com
news