ঘোর অন্ধকারময় কলিযুগে জীবের একমাত্র মুক্তিমন্ত্র ‘হরে কৃষ্ণ, হরে রাম’—প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীলফামারীর ডোমারে বিশ্বশান্তি ও সমগ্র জীবজগতের কল্যাণে ২৪ প্রহর ব্যাপী ৬৭তম বার্ষিকী অখণ্ড ‘শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহাযজ্ঞ ও সংকীর্তন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ই এপ্রিল) দুপুর ২টায় নগর ভ্রমণ, দধিমঙ্গল ও মহাপ্রভুর ভোগ নিবেদন অন্তে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের শ্রী শ্রী হরিনাম সংকীর্তন। এর আগে, ৬ই এপ্রিল শ্রী শ্রী হনুমান জয়ন্তী উদযাপনের মাধ্যমে ডোমার শহরের বনওয়ারী মোড় সংলগ্ন স্বর্গীয় বনওয়ারী লাল আগরওয়ালার বাসভবনে ৬৭তম বার্ষিকী ২৪ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী হরিনাম সংকীর্তন শুরু হয়।
এবারের শ্রী শ্রী হরিনাম সংকীর্তনে নামসুধা পরিবেশন করে—মাগুড়ার শ্রীগুরু সম্প্রদায়, ডোমার উপজেলার হরিণচড়ার শ্রী হরি সম্প্রদায়, সাভারের শ্রী ভোলানাথ সেবা সংঘ, নেত্রকোনার শ্রী কুলেশ্বরী সম্প্রদায়, নীলফামারীর শ্রী রাধাকৃষ্ণ সম্প্রদায়, পাবনার শ্রী জয়গুরু সম্প্রদায় ও নেত্রকোনার শ্রী জগদবন্ধু সম্প্রদায়।
সংকীর্তনের ব্যাপারে স্বর্গীয় ঘিষুলাল আগরওয়ালার পরিবারের পক্ষে রামনিবাস আগরওয়ালা জানান, বিশ্বশান্তি ও সমগ্র জীবজগতের কল্যাণ কামনায় পারিবারিকভাবে দীর্ঘ ৬৭ বছর যাবৎ শ্রী শ্রী হরিনাম মহাযজ্ঞ ও সংকীর্তন আয়োজন করেন তারা।
অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী জানা যায়, ৬ই এপ্রিল সকাল ১০টায় শ্রী শ্রী হনুমান জয়ন্তীর পূজা অন্তে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয়ে সেদিনই সায়ংকালে নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস পালন, ৭ই এপ্রিল অরুণোদয় থেকে ১০ই এপ্রিল অরুণোদয় অব্ধি নামযজ্ঞের শুভারম্ভ শেষে নগর ভ্রমণ, দধিমঙ্গল ও মহাপ্রভুর ভোগ নিবেদন অন্তে প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শ্রী শ্রী হরিনাম সংকীর্তন শেষ করা হবে।
উল্লেখ্য, সংকীর্তন উপলক্ষ্যে নামযজ্ঞ প্রাঙ্গনকে বর্ণিলভাবে সাজানো এবং বিশাল তোরণের মাধ্যমে আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়। অন্যদিকে, কীর্তন প্রাঙ্গনের বাইরে বনওয়ারী মোড় এলাকায় বাহারী পণ্য, দ্রব্যসামগ্রী সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে দোকান বসে মেলায় রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভিড়ে প্রাণবন্ত মেলায় পরিণত হয়েছিল সংকীর্তন আয়োজন।
পত্রিকা একাত্তর/ রিশাদ
আপনার মতামত লিখুন :