রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তার নেতৃত্বে গ্লোবাল কমিউনিটি অর্গানাইজেশন নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন যাত্রা শুরু করে ২০০৮ সালে।
সবুজায়নের উদ্দেশ্যে বৃক্ষ রোপণ অভিযান সরুপ এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে “একটি শিশু একটি গাছ” প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রকল্পটি এখন বাঘার গুন্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর রাজশাহী, নাটোর এবং চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় একযোগে মোট ত্রিশটি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত তারা প্রায় ত্রিশ হাজার নবজাতক শিশুর অভিভাবকের হাতে ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছের চারা তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে।
পরে একটি শিশু একটি গাছ প্রোকল্পের আয়োতায় থাকা অস্বচ্ছল পরিবার কে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে দিতে চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি অবলম্বন নামের একটি প্রজেক্ট হাতে নেয় তারা।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রায়পুর এলাকায় অবলম্বন’র প্রথম কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। নিজ অর্থায়নে রায়পুর এলাকার একজন অস্বচ্ছল দিনমজুর ইউনুস আলীর ১৬ শতক জমিতে ১০৫ টি থ্রি গোল্ড থাই্র জাতের পেয়ারা গাছ রোপন করেছে তারা।এ থেকে ১ বছরে আনুমানিক ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছে অবলম্বন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় অবলম্বন প্রকল্পটির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ান ট্রি প্ল্যান্টের এশিয়া স্পেসিফিক প্রজেক্ট ম্যানেজার (অস্ট্রেলিয়ান) কে.এম রিস ও ওয়ান ট্রি প্লান্টের ভারতীয় প্রজেক্ট ম্যানেজার সামদ্র্রিতা রয় । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গ্লোবাল কমিউনিটি অর্গানাইজেশন এর প্রধান উপদেষ্টা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন মৃধা৷
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, গ্লোবাল কমিউনিটি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমিনুল ইসলাম, একটি শিশু একটি গাছ প্রকল্পের পরিচালক রাজু আহমেদ ও সম্পাদক মাসুদ ইসলাম, প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহফুজ আনাম নওরোজ এবং প্রকল্পের প্লান্টিং অ্যান্ড মনিটরিং অফিসার তুষার আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান, মুন্না আহমেদ, নুরুজ্জামান শান্ত, অবলম্ব ডাইরেক্টর আব্দুর রউফ প্রমুখ। এ সময় ইউনুস আলীর মেয়ে আয়েশা খাতুন (৪) এ-র হাতে প্রধান অতিথি কে.এম রিস সাক্ষরিত সনদ তুলে দেওয়া হয়।
অবলম্বন প্রকল্পের পরিচালক জিহানুর রহমান বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের সেচ্ছায় দেওয়া শ্রম বৃথা যাবে না। আমাদের অবলম্বন কে অর্থায়ন করবে ওয়ান ট্রি প্ল্যান্ট। আমি আশাবাদী আমারা মানুষের পাশে থেকে এগিয়ে যাবো। রোপনকৃত গাছের সার্বিক দেকভাল ও রক্ষনাবেক্ষন করবেন ওই শিশুর পরিবারসহ আমাদেপর স্বেচ্ছাসেবী গন।
পত্রিকা একাত্তর/ রবিউল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :