বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে যথাযোগ্য মযার্দায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (০৭ মার্চ, ২০২৩) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, নীল দল, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রশীদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেশ স্বাধীনের জন্য বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরার আহবান জানান তিনি। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ বক্তব্য রাখেন। বেরোবি আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেরোবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস ২০২৩ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. শফিকুর রহমান।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আল-মামুন, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ নূর আলম মিয়া, বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী নেওয়াজ মোস্তফা। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশ নেন।
পত্রিকা একাত্তর/ ফারহান সাদিক